Pages

Thursday, July 14, 2011

কম্পিউটারের জায়গা দখল করছে মোবাইল ফোন

কম্পিউটারের জায়গা দখল করছে মোবাইল ফোন

-জিয়াউদ্দিন সাইমুম

এক দশক আগেও দেশবাসী ভাবতে পারেনি মোবাইল ফোনই একদিন ক্যামেরার উষ্ণ জমিনটুকুর গর্বিত মালিক হয়ে যাবে। একই কায়দায় হাতঘড়িও এখন মোবাইল প্রযুক্তির কাছে আচ্ছা করে খাবি খাচ্ছে। এর পরের পালা কি কম্পিউটারের? টেক বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মোবাইল অচিরেই এ হাইটেক ডিভাইসটিরও ভাত মারবে। কারণ এক সময়কার রেফ্রিজারেটরের সমান আকৃতির কম্পিউটার অর্ধশতাব্দীতে ডেস্কটপে রূপ নিয়েছে। কিন্তু মোবাইল আগ্রাসনে ওটা এখন ল্যাপটপে পরিণত হয়ে ‘জাত’ ধরে রাখতে চাইছে। ল্যাপটপ নোটবুকের আকারে বনে গেছে সুদৃশ্য পামটপে। কিন্তু ল্যাপটপের ফাংশন আর অনুভূতি যদি পামটপে মেলে, তাহলে খবর আছে ল্যাপটপেরও। টেক বিশেষজ্ঞরা অন্তত এটাই ধারণা করছেন।
ওই ডিভাইসটিকে আপনি কী বলবেন— যাতে রয়েছে একটি সুদৃশ্য স্ক্রিন, একটি পরিমিত কিবোর্ড, কন্টাক্ট, ই-মেইল আর ডকুমেন্টের মতো ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের জম্পেশ স্টোরেজ, আঙুলের আলতো ছোঁয়ায় অডিও-ভিডিও ফাইল খোলার চৌকস সামর্থ্য, গেমস আর স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম, রয়েছে যোগাযোগের অনন্য উপাদান। উত্তরটা অনেকের জিভের ডগায় চলে আসায় এক নিঃশ্বাসে হয়তো কেউ কেউ বলবেন, কেন কম্পিউটার! জনাব, হিসাবে ভুল হচ্ছে। কারণ ওটা যে মোবাইল ফোন—হালের আধুনিক। কেউ কেউ হালের ক্রেজ স্মার্ট ফোনের অবিশ্বাস্য তেলেসমাতি দেখে মুখস্ত বলে দিচ্ছেন, ‘আরে! এটার তো জন্মই হয়েছে ডেস্কটপ আর ল্যাপটপকে জাদুঘরে পাঠাতে।’ হ্যাঁ, বাংলাদেশের নোবেল জয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস যেভাবে দারিদ্র্যকে জাদুঘরে পাঠাতে চান, প্রযুক্তিবিদরাও একইভাবে কম্পিউটারের জায়গা জাদুঘরে আগেভাগে বুক করে রাখতে চাইছেন।
প্রসঙ্গটি তুলতেই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল অপারেটর বাংলালিংকের এমডি এবং সিইও আহমেদ আবু দোমা বললেন, আমেরিকার মতো উন্নত দেশে ৫৭ শতাংশ ইন্টারনেটের কাজ মোবাইলের মাধ্যমে চলছে। অর্থনৈতিক ও বাস্তবতার দিক থেকে বাংলাদেশের মতো একটি উন্নয়নশীল দেশে ইন্টারনেট ছড়িয়ে দিতে মোবাইল ফোনই সবচেয়ে বেশি কার্যকর প্রযুক্তি। আমি বিশ্বাস করি, মোবাইল ফোন কম্পিউটারের জায়গা দখল করে নিচ্ছে।
সম্প্রতি গ্রামীণফোন ‘মোবিটাকা’ সার্ভিসের মাধ্যমে তার গ্রাহকদের ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বুকিংয়ের সুযোগ করে দিয়েছে। আগামীতে বাংলাদেশেও যে কোনো ধরনের টিকিট, টাকার লেনদেন, উকিল নোটিশ মোবাইল বাটনে টিপেই সারতে পারবেন দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে, যে কোনো সময়। মোবাইলে এসব সুবিধা মিললে কম্পিউটারের কি-বোর্ডে হামলে পড়ার আগ্রহ থাকবে কার? অন্তত ডিজুস প্রজন্ম মোবাইল প্রযুক্তিকে রাতদিন সালাম জানাবে।
আপাতদৃষ্টিতে পিসি আর ল্যাপটপ হটানো বেশ কঠিনই মনে হতে পারে। কারণ ২০০৯ সালেই যে প্রযুক্তিটির বিক্রি সংখ্যা ২০ কোটি পিস ছাড়িয়ে গেছে, যে খাতে ব্যয় হয়েছে ২০ হাজার কোটি ডলারের বেশি, সেই প্রযুক্তি কি রাতারাতি হাওয়া হয়ে যাবে? মোটেও না। তবে মোবাইল ফোন পিসির ঘণ্টা ঠিকই বাজিয়ে রেখেছে।
টেক বিশেষজ্ঞদের ধারণা, জটিল ও অত্যাধুনিক বেশকিছু কাজে পিসি আর ল্যাপটপ থেকেই যাবে। কারণ একজন আর্কিটেক্ট যদি ডিজাইন প্রোগ্রাম চালাতে চান, তাহলে পিসিই হবে তার শ্রেষ্ঠ অবলম্বন। ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার যদি নতুন ধরনের সার্কিটের ডিজাইন তৈরি করতে চান, তাহলে তিনি পিসিকেই প্রাধান্য দেবেন। ফিল্ম মেকার যদি ভিডিও এডিট করতে চান, তাহলে পিসিই গ্রেট! কিন্তু গণমানুষের হাতের তালুতে ঠাঁই পাওয়া মোবাইল ফোনকে চোখ রাঙানোর ক্ষমতা কম্পিউটার দিন দিন হারিয়ে ফেলছে। বিষয়টাকে সম্ভবত এভাবেই বলা যায়—জটিল কাজে কম্পিউটার আরও দীর্ঘ কৌলীন্য বজায় রাখবে আর মোবাইল ফোন গণমানুষের কাতারে এসে গণসঙ্গীতের কোরাস তুলবে।
ব্যাপারটা অনুমান করতে পেরে কিছু ঘড়েল প্রযুক্তিবিদ কম্পিউটারে ভয়েস আদান-প্রদান আরও সহজ করতে চাইছেন। ফলাফল যাই হোক না কেন, এতে জয় কিন্তু মোবাইল ফোনেরই।
কম্পিউটারের আরও আধুনিকায়ন সম্ভব। তবে প্রযুক্তিবিদরা একবাক্যে মানছেন, কম্পিউটারের চেয়ে মোবাইল ফোনেরই সম্ভাবনা বেশি। কারণ কম্পিউটারের বিবর্তন হচ্ছে ধীরগতিতে। অথচ মোবাইল ফোনের বিবর্তন কল্পনাকেও হার মানাচ্ছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, মোবাইল ফোন নিজেই এখন কম্পিউটার হয়ে উঠছে। টেক-পাগল লাখ লাখ জাপানি এখন মোবাইল ফোন ছাড়া ভিন্ন কিছু ভাবতেই পারছেন না। কারণ ইন্টারনেটভিত্তিক ব্যাকআপ সার্ভিস এখন মোবাইলে পাওয়া যাচ্ছে।
বিজ্ঞানী কেনেথ বোল্ডিংয়ের জ্ঞান-বন্দনা তত্ত্বটিকে একটু ঘুরিয়ে বললে হয়তো এভাবে বলা যাবে, ‘মোবাইলের সম্ভাব্য শক্তি এখন অতি দুর্দান্ত। সে আর পেছনে পড়বে না। দুধে মাখন আছে, আমাদেরই তা মন্থন করে নিতে হবে। মোবাইলই শক্তি এবং আকাশটাই তার সীমানা।’



Thursday, May 5, 2011

মোবাইলে কল ডাইভার্ট

মোবাইলে কল ডাইভার্ট
মোবাইল ফোন বন্ধ থাকলে কল ডাইভার্টের মাধ্যমে জরুরি কলগুলো অন্য নম্বরে ট্রান্সফার করা যায়। আমাদের দেশে সব মোবাইল ফোন অপারেটরেই কল ডাইভার্ট সমর্থন করে। কল ডাইভার্ট চালু করার জন্য Settings থেকে Call Settings-এ যেতে হবে। এবার Call Divert নামে একটি অপশন পাওয়া যাবে (হ্যান্ডসেট ভেদে অপশনে পার্থক্য থাকতে পারে।)। এখানে Divert all voice calls নামের অপশনটির মাধ্যমে ওই নম্বরে আসা সবগুলো কল অন্য নম্বরে ট্রান্সফার করা যাবে। এ ক্ষেত্রে যে সিমটি থেকে কল ডাইভার্ট করা হচ্ছে সেটি চালু থাকলেও সব কল ডাইভার্ট করা নম্বরটিতে ট্রান্সফার হয়ে যাবে।
Divert all voice calls ক্লিক করে এবার Activate ক্লিক করুন। এবার To other number ক্লিক করে যে নম্বরটিতে কলটি ডাইভার্ট করতে চান সেটি লিখুন। আপনার সবগুলো কল এবার ওই নম্বরে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। Call Divert অপশনের Divert When Busy বাটনটির মাধ্যমে কেবল ফোন ব্যস্ত থাকা সময়ের কলগুলোই ডাইভার্ট করা যাবে। Divert If not answered বাটনটির মাধ্যমে কল ডাইভার্ট চালু করলে ফোন বাজার পরও যদি রিসিভ করা না হয়, তখন ওই কলটি ডাইভার্ট হয়ে নির্দিষ্ট নম্বরে চলে যাবে। Divert If out of reach বাটনটির মাধ্যমে ডাইভার্ট করলে যখন নেটওয়ার্ক থাকবে না বা ফোন বন্ধ থাকবে কেবল তখনই ফোন ট্রান্সফার হবে। ডাইভার্ট বাতিল করার জন্য Call Divert অপশন থেকে Diver Cancell of diverts ক্লিক করতে হবে।

Wednesday, March 23, 2011

Saturday, February 19, 2011

আ দ ব কে তা : মোবাইলের ব্যবহার ও যোগাযোগ দক্ষতা...

আ দ ব কে তা : মোবাইলের ব্যবহার ও যোগাযোগ দক্ষতা...

- মোহাম্মদ মারূফ খাঁন

একটা গান আছে না? গাড়ি চলে না চলে না চলে না রে, গাড়ি চলে না...। যান্ত্রিক সভ্যতাও আমাদের অনেক সময় অচল করে দেয়। যেমন, চাইনিজ মোবাইলের বদৌলতে আমাদের প্রায়ই বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ফলে অনেক সময়ই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, মনে হয় যেন নির্বাসনে গেছি। সর্বস্তরের মানুষের কাছে মোবাইল নিঃসন্দেহে একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সার্বক্ষণিক ব্যবহার্য বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সভ্যতায় এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। কিন্তু এই মোবাইলের যাচ্ছেতাই এবং যত্রতত্র ব্যবহার আমাদের ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সেদিক থেকে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের যত্নবান বা সচেতন হওয়া আবশ্যক।

যেমন—বেশি আওয়াজ করে কথা না বলা ভালো। আবার পাবলিক প্লেসে যেমন বাসে, ট্রেনে... ফানে কথা না বলাই ভালো। মানে কেউ ফোন করলে আপনি বলতে পারেন—‘আমি বাসে,... পরে কলব্যাক করছি।’ অনেকে আবার একান্ত ব্যক্তিগত কথাবার্তা পাবলিক প্লেসে মোবাইলে বলে, এটা অবশ্যই অন্যদের প্রাইভেসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আসলে আমাদের এমনভাবেই কথা বলা উচিত যেন আশপাশে অবস্থানরত অন্যরা বিরক্ত না হন। অনেকেই ফোনে জোরে আওয়াজ করে করে কথা বলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।
রিং হলে অবশ্যই ফোন রিসিভ করুন। সংক্ষেপে কথা শেষ করতে পারাটা বড় দক্ষতা; ফলে সংক্ষেপে কথা সারুন। ফোনের রিংটোনের আওয়াজ ছোট করে রাখুন। ব্যস্ততার কারণে যদি ফোন ধরা সম্ভব না হয় তবে ফোন বন্ধ করে রাখুন, আর একান্ত প্রয়োজন হলে মিউট করে রাখুন বা মিসকল অ্যালার্ট অপশন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্যই মোবাইল মিউট করে রাখুন।
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের রিংটোন ব্যবহার করেন। রিংটোন পছন্দ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ভালো, কারণ রিংটোন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করে। মনে রাখা ভালো ফোন আমাদের, কিন্তু ওই ফোনে মূলত অধিকার অন্যের। ফোন রিসিভ করে অনেকেই বেশ বিরক্তভাবে কথা শুরু করি, এটা একেবারেই ঠিক নয়; কারণ আমাদের ফোন আছে বলেই অন্যরা ফোন করেছেন। আমাদের অধিকারই নেই অন্যকে কষ্ট দেয়া। অনর্থক কাউকে ফোন করবেন না। ফোন করলেই নিজের পরিচয় দিন এবং যাকে চাচ্ছেন সে-ই ফোন ধরেছেন কিনা নিশ্চিত হয়ে কথা বলুন। অন্তত মোবাইলে কাউকেই বলা উচিত নয়—‘এটা কোন জায়গা?’ মনে রাখা ভালো, মোবাইল কোনো স্থানে স্থির থাকে না। অবশ্যই মোবাইলে কাউকে অধিক রাতে বা ব্যক্তিগত সময়ে ফোন করা উচিত নয়। কথা শেষ হলে অনুমতি নিয়ে কথা শেষ করুন, হুট করে কল কেটে দেবেন না; এটা আমাদের আদবের নেতিবাচক দিককেই পরিচিত করে তোলে।
মোবাইলে মিসকল দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা একেবারেই অনুচিত কাজ। গাড়ি বা যে কোনো যানবাহন চালানো অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না। বদ্ধ স্থানে মোবাইল ব্যবহার না করা ভালো। যে কোনো ধরনের সেবা দানকালে মোবাইল বন্ধ রাখুন। মোবাইলে অন্যের অনুমতি না নিয়ে ফটো তুলবেন না। কিছু ক্ষেত্র আছে অনুমতি নিয়েও ফটো তোলা ঠিক নয়, সেটা কমনসেন্স দিয়ে বুঝে নেয়া ভালো। কারও নাম্বার অনুমতি ছাড়া অন্যকে প্রদান করা থেকে বিরত থাকা ভালো। কারও সঙ্গে মিটিং করছেন, এ সময় মোবাইল বন্ধ রাখাই ভালো, যদি মোবাইল রিসিভ করতেই হয় তবে অনুমতি নিয়ে মোবাইল রিসিভ করুন। রাস্তা পারাপাররত অবস্থায় বা রাস্তায় হেঁটে চলা অবস্থায় মোবাইল যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো। আমাদের সন্তানদের মোবাইল ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্যের মোবাইল নম্বর না নেয়া ভালো। রাত জেগে ফোন করা থেকে বিরত থাকা ভালো। রাতে মোবাইল বন্ধ রাখা ভালো, আর যদি খুলেই রাখেন সেক্ষেত্রে রিং হলে বিরক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কারো জীবনে এমনটা না ঘটুক! মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে বলা মুশকিল। রাত-বিরাতেও অনেক সময় অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে কোনো বিপদ আপদে কাছের মানুষ, আত্মীয় স্বজন কিংবা পাড়া প্রতিবেশীরা আপনার সাহায্য চাইতেই পারে। এরকম সম্ভাবনা থাকলে রাতে মোবাইল চালু রাখার প্রয়োজন আছে।

Tuesday, February 15, 2011

মোবাইলের ৯ দাওয়াই

মোবাইলের ৯ দাওয়াই
মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যা হয়ই। সমস্যা সমাধানে কেউ ছোটেন অভিজ্ঞদের কাছে, কেউ বা কেয়ার সেন্টারে। তবে একটু চেষ্টা করলে নিজেই নিজের মোবাইল ফোন ঠিক করা যায়। মোবাইল ফোনের সাধারণ কিছু সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আল-আমিন কবির জানাচ্ছেন আল-আমিন কবির
ভুলে গেছি পাসওয়ার্ড!
তথ্য সুরক্ষাসহ অনেক কারণেই পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল ফোন লক করে রাখেন অনেকে। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো কাজ করার আগে পাসওয়ার্ড দিয়ে এটি সক্রিয় করতে হয়। নকিয়া ১১০০ এবং এ ধরনের মডেলের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও এর তথ্যগুলো দেখতে এবং কল করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে Menu বাটনটি চাপতে হবে। এবার সিকিউরিটি কোড বা পাসওয়ার্ড চাইবে মোবাইল ফোনটি। এবার চাপতে হবে Back (Go to) বাটন। এখন আবার Unlock (Menu) চেপে দুই সেকেন্ড পর্যন্ত একটানা ধরে রাখুন। দুই সেকেন্ড পর স্ক্রিনে দেখা যাবে Now Press * নামের একটি কমান্ড। এটি মুহূর্তের মধ্যেই আবার মিলিয়ে যাবে। তাই এ পর্যায়ে একটু সতর্ক থেকে কমান্ডটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই Unlock (*) বাটন চাপতে হবে। দেখা যাবে, পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফোনের লক খুলে গেছে


স্মার্টফোনের তথ্য ব্যাকআপনকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে এটি অনেক ধীরগতির হয়ে যায়। অনেক সময় ফোনের তথ্যগুলোও হারিয়ে যায়। আবার অনেকে এক ফোন থেকে অন্য ফোনেও তথ্য স্থানান্তর করতে চান। এ ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তার জন্য কম্পিউটারে নকিয়া স্মার্টফোনের তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে সেভ করে রাখতে পারেন। এ জন্য নকিয়া পিসি স্যুইট সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে ইনস্টল করা থাকতে হবে। http://www.nokia.co.in/support/download-software/nokia-pc-suites থেকে বিনা মূল্যে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যায়। এবার মোবাইল ফোনটি ডেটা কেব্ল্ অথবা ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। পিসি স্যুইট সফটওয়্যারটি Open করলে পাওয়া যাবে ব্যাকআপ অপশন। এখানে ক্লিক করলে ব্যাকআপ ও রিস্টোর নামের দুটি অপশন পাওয়া যাবে। এবার ব্যাকআপ লেখা বাটনে ক্লিক করে কোন কোন তথ্যের ব্যাকআপ নিতে চান এবং সেগুলো কোথায় সেভ করবেন, তা নির্বাচন করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্মার্টফোনের তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে কম্পিউটারে সেভ করা যাবে। একই পদ্ধতিতে তথ্যগুলো মোবাইল ফোনে আবার রিস্টোরও করা যাবে। এ জন্য ব্যাকআপ বাটনের বদলে চাপতে হবে রিস্টোর বাটন।

সিমবিয়ান স্মার্টফোন ফরম্যাটঅনেক ব্যবহার, ভাইরাসের আক্রমণ, অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইনস্টলসহ বেশ কিছু কারণে সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর হ্যান্ডসেটগুলো ধীরগতির হয়ে যায়। অনেক সময় এটি কাজ করে না। সে ক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটটি ফরম্যাট করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল ফরম্যাট করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রথমে স্মার্টফোনটি বন্ধ করে নিতে হবে। এবার একসঙ্গে স্টার (*), তিন (৩) ও কলিং বাটন বা সবুজ বাটন চেপে ধরে রাখতে হবে। একসঙ্গে চেপে ধরে রাখতে না পারলে এটি কাজ করবে না। চেপে রাখার পর এর অন সুইচ চেপে মোবাইলটি চালু করতে হবে। সম্পূর্ণ চালু না হওয়া পর্যন্ত স্টার (*), তিন (৩) ও কলিং বাটন বা সবুজ চেপে ধরে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের সব তথ্য মুছে যাবে এবং হ্যান্ডসেটটি ফরম্যাটও হয়ে যাবে। এরপর এতে নতুন সেটের মতোই কাজের গতি পাওয়া যেতে পারে। তবে সব তথ্য মুছে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে নিয়ে রাখা যাবে।


মোবাইলে বাংলা দেখামোবাইল ফোনে বিল্টইন-ভাবে বাংলা ফন্ট না থাকলে স্বাভাবিকভাবে বাংলা ওয়েবসাইট দেখা যায় না। তবে অপেরা ব্রাউজার ব্যবহার এবং কনফিগারেশন ঠিক করে যেকোনো বাংলা ইউনিকোড ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ রয়েছে। প্রথমে www.operamini.com থেকে অপেরা ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবার অপেরা চালু করে অ্যাড্রেস বারে টাইপ করতে হবে opera:config। এরপর ok বাটনটি চাপতে হবে। নতুন পেইজে Use bitmap fonts for complex scripts-এর সেটিংস পরিবর্তন করে YES করতে হবে। এরপর সেভ করে বেরিয়ে আসতে হবে। এবার মোবাইল ফোনে বাংলা ইউনিকোড সমর্থিত ওয়েবসাইটগুলো পড়তে পারবেন।


আইকনবিহীন ফোল্ডার তৈরিমোবাইল ফোনে ফোল্ডার বানানোর সময় সাধারণত একটি আইকন তৈরি হয়ে যায়। এ আইকনের ফলে বোঝা যায় ভেতরে কী ধরনের ফাইল রয়েছে। তবে ভেতরের ফাইলের প্রকৃতি বুঝতে দিতে না চাইলে আইকনবিহীন ফোল্ডারও তৈরি করা যাবে। এ জন্য প্রথমে তৈরি করুন একটি ফোল্ডার। এবার ওই ফোল্ডারে তথ্য বা ফাইলগুলো রাখুন। এবার ফোল্ডারে ফিরে এসে এর Rename অপশনের মাধ্যমে ফাইলের নামের শেষে .otb এঙ্টেনশন যোগ করতে হবে। যেমন_Music নামে ফোল্ডার বানালে তার নাম হবে Music.otb। এবার দেখা যাবে ফোল্ডারের আইকনটি আর নেই। এবার ভেতরে কী কী ফাইল আছে, সেগুলোও তাই বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই।

কিছু গোপন কোড

মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নম্বর জানার জন্য চাপতে হবে *#০৬#, ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার জন্য *#৭৭৮০#, সফটওয়্যারের সংস্করণ দেখার জন্য *#0000#, ব্লটুথ ডিভাইসের ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য জানার জন্য *#2820#, ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিংয়ের ম্যাক অ্যাড্রেস দেখার জন্য *#62209526#, মোবাইলের সিরিয়াল নম্বর জানার জন্য *#৭৭৬০#, সব কল ডাইভার্ট করার জন্য **21*number# চেপে কল কি চাপতে হবে। স্যামসাং মোবাইলের জন্যও বেশ কিছু গোপন কোড রয়েছে। সফটওয়্যার সংস্করণ জানার জন্য *#9999#,, সিরিয়াল নম্বর জানতে *#0001#, ব্যাটারির অবস্থা জানতে *#9998*246# এবং ভাইব্রেশন পরীক্ষা করার জন্য #9998*842# ~ *#8999*842# বাটন চাপতে হবে।

মোবাইলে ফোল্ডার লুকিয়ে রাখামোবাইল ফোনে সাধারণভাবে কোনো ফোল্ডার লুকিয়ে রাখা যায় না। ফাইল ম্যানেজার থেকে সব ধরনের ফোল্ডারই দেখা যায় মোবাইল মেমোরি থেকে। তবে একটু বুদ্ধি করে মোবাইলেই যেকোনো ফোল্ডার লুকিয়ে রাখা যায়। এ জন্য প্রথমে মোবাইল মেমোরিতে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন। ফোল্ডারের শেষে এঙ্টেনশন হিসেবে .jad ব্যবহার করতে হবে। যেমন_music নামে কোনো ফাইল তৈরি করলে ফাইলটির পুরো নাম হবে music.jad। এবার যে ফাইলগুলো লুকিয়ে রাখা প্রয়োজন, সেগুলো music.jad ফোল্ডারে ঢুকিয়ে নিতে হবে। এবার একই নামে একই রুটে আরো একটি ফোল্ডার তৈরি করতে হবে। যেহেতু আমরা আগে music নামে ফোল্ডার তৈরি করেছি, তাই নতুন ফোল্ডারটিও হবে music নামে। তবে এবার ফোল্ডারটি রিনেম করে এঙ্টেনশন হিসেবে .jar যুক্ত করতে হবে। পুরো ফাইলটির নাম হবে তাহলে music.jar। নতুন ফাইলটি তৈরি হওয়ার পর মোবাইল থেকে দেখা যাবে আগের ফোল্ডারটি উধাও হয়ে গেছে! আগের ফোল্ডারটি আর দেখা যাবে না। ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলো দেখার জন্য মেমোরি কার্ড খুলে অথবা ডেটা কেব্ল্ দিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে ফোন সংযুক্ত করে ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলো বের করা যাবে।

ভুলে গেলে মেমোরি কার্ড পাসওয়ার্ডমোবাইল ফোনে মেমোরি কার্ড সুবিধা থাকায় অনেকেই গোপনীয় তথ্যাবলি মেমোরি কার্ডেই সংরক্ষণ করে থাকেন। তবে নিরাপত্তার খাতিরে সেগুলোতে পাসওয়ার্ডও দিয়ে রাখেন অনেকে। তথ্যগুলো দেখার জন্য অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হয়। তবে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও বিকল্প উপায়ে তথ্য রিকাভার করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য অবশ্য মোবাইলে এফএঙ্প্লোরার নামের একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে। www.gosymbian.com/FE_download.html থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে। সফটওয়্যার ইনস্টল শেষে চালু করুন। এরপর C:—-Szstem—-(mmcstore)file-টা Copy করে মেমোরি কার্ডে Paste করতে হবে। মেমোরি কার্ডে Copy করা mmcstore file-টির শেষে .txt এঙ্টেনশন যুক্ত করুন। তাহলে ফাইলের নামটি হবে mmcstore.txt। এরপর কম্পিউটারে ফাইলটি ব্লুটুথ, ডেটা কেব্ল্ বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাঠান। এবার ফাইলটি কম্পিউটারে খুলে Text Document-এ দেখা যাবে, মেমোরি কার্ডের পাসওয়ার্ডটি দেওয়া রয়েছে।

মডেম হিসেবে মোবাইল ফোনইন্টারনেট সমর্থক মোবাইল ফোনকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করারও সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মোবাইলের জন্য আলাদা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। নকিয়া মোবাইল মডেম হিসেবে ব্যবহার করতে নকিয়া পিসি স্যুট এবং স্যামসাং মোবাইল ব্যবহার করার জন্য স্যামসাং স্টুডিও সফটওয়্যার (www.brothersoft.com/samsung-pc-studio-78015.html) ইনস্টল করতে হয় কম্পিউটারে। সেটআপ শেষে সফটওয়্যার খুলে ডেটা কেব্ল্ অথবা ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করে নিতে হবে। এরপর নকিয়ার ক্ষেত্রে connect to the internet লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর One Touch Access নামের একটি বঙ্ আসবে, সেখানে প্রথমে Settings বাটনে ক্লিক করুন। এবার নিচে Next বাটনে ক্লিক করুন। Configure the connection manually লেখার বাঁ পাশে গোল চিহ্নটি মার্ক করুন। এবার নিচে Next বাটনে ক্লিক করুন। এবার অAccess Point লেখা খালি বঙ্ েইন্টারনেট অ্যাকসেস ঠিকানাটি লিখতে হবে 'অ্যানড্রয়েড'। যেমন_গ্রামীণফোন ইন্টারনেটের জন্য gpinternet, বাংলালিংকের জন্য internet লিখতে হবে। User name ও Password-এর ঘরে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই। এবার নিচে Finish বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর One Touch Access-এ গিয়ে Connect বাটনে ক্লিক করুন। ইন্টারনেটের সঙ্গে কম্পিউটারটি সংযুক্ত হয়ে যাবে।

মোবাইল ফোন প্রজনন ক্ষমতা কমায়!

মোবাইল ফোন প্রজনন ক্ষমতা কমায়!


সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। মোবাইল চালু করে প্যান্টের পকেটে রাখলে পুরুষের শুক্রাণুতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে এবং তা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সাতটি দেশে গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। আমেরিকা, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, চালু থাকা মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেটে হলে তা শুক্রাণু তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
নোবেল জয়ী মার্কিন গবেষক ডেভরা ডেভিস জানিয়েছেন, ‘বাবা হতে চাচ্ছেন এমন যুবকদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে চার ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার শুক্রাণু অর্ধেক হয়ে যায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রাণুর ওপর মোবাইল ফোনের বিকিরণ প্রয়োগ করলে শুক্রাণু দুর্বল, চিকন এবং সাঁতারে অক্ষম হয়ে পড়ে। আর মোবাইল ফোন হলো এক ধরনের স্বল্প কম্পাঙ্কের তরঙ্গ প্রেরক যন্ত্র। এ তরঙ্গের অন্য নাম মাইক্রোওয়েভ।
জানা গেছে, ডেভিস তার ‘ডিসকানেক্ট : দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট সেল ফোন রেডিয়েশন, হোয়াট দ্য ইন্ডাস্ট্রি হ্যাজ ডান টু হাইড ইট অ্যান্ড হাউ টু প্রটেক্ট ইওর ফ্যামিলি’ নামের বইটিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডেভিস মোবাইল ফোন ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের এ বিকিরণ অনেক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করবে। একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার মারাত্মক টিউমারের সৃষ্টি করে।

Monday, January 31, 2011

আখ বিক্রিতে এবার ডিজিটাল পুর্জি

আখ বিক্রিতে এবার ডিজিটাল পুর্জি


একজন কৃষক যে ফসল ফলান, তা যদি তিনি সময়মত বিক্রি করতে না পারেন, তাহলে তাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। তা যেন না হয়, সে জন্য মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সমন্বিত সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে। ‘ডিজিটাল পুর্জি’ নামে এ পদ্ধতির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে এ বছর ফরিদপুর আর ঝিনাইদহের আখচাষীদের মধ্যে—যারা ওই এলাকার চিনিকলগুলোয় আখ বিক্রি করেন।
মোবাইল ফোনেই কেনাবেচার তথ্য
কৃষকদের জন্য তাদের উত্পাদিত কৃষিপণ্য সময়মত বিক্রি করতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়ই কৃষিপণ্য একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ফেলে রাখলেই তার মান খারাপ হতে শুরু করে এবং দামও পড়তে শুরু করে। কৃষককে তখন বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হয়। কৃষকদের যেন এভাবে লোকসান দিতে না হয়, সেজন্য মোবাইল ফোনে তাদের তথ্যসেবা দেয়ার একটি পদ্ধতি এ বছর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ফরিদপুর আর ঝিনাইদহে আখচাষীদের মধ্যে।
ডিজিটাল পুর্জি যেভাবে কাজ করে
এ দু’টি চিনিকলের জন্য যে চাষীরা আখ সরবরাহ করেন, তারা কবে, কখন এবং কী পরিমাণ আখ মিলগেটে নিয়ে আসবেন, তার নোটিশটি তারা পান তাদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে। এ নোটিশকে বলে পুর্জি। এ পুর্জি প্রথা চলছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। আগে তা দেয়া হতো কাগজে লিখে, অনেক সময়ই তা হারিয়ে যেত বা অনেক অসাধু লোক বিক্রি করে দিত। ফলে অনেক আখচাষীই তাদের ক্ষেতের আখ কাটার পরও সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে পারতেন না। দিনের পর দিন আখ ফেলে রাখতে হতো। ফলে তা শুকিয়ে যেত এবং বিক্রি করার সময় তার দামও অনেক কমে যেত।
তবে এখন ঝিনাইদহ এবং ফরিদপুরের চিনিকলগুলোয় আখ সরবরাহকারী প্রায় ২০ হাজার কৃষক এখন এ ডিজিটাল পুর্জির সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চিনিকলের সার্ভার রুম থেকে একটা সমন্বিত পদ্ধতিতে এলাকার চাষীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় কোন দিন কাকে কী পরিমাণ আখ বিক্রির জন্য চিনিকলে নিয়ে আসতে হবে।
মোবাইলে পুর্জি চালু হওয়ার পর মোবারকগঞ্জ চিনিকলের চাষীরা এখন পরিকল্পনা করে আখ কাটছেন এবং তা নির্দিষ্ট দিনেই বিক্রি করতে পারছেন। ফলে লোকসানের সম্ভাবনা আর থাকছে না। আখচাষী আয়নাল হোসেন জানান, পুর্জির মেসেজটি ইংরেজিতে এলেও তার অর্থ বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না, দরকার পড়লে তিনি তার ছেলে বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাস করে নিচ্ছেন। পুর্জি নিয়ে আগে যে দুর্নীতি হতো তা ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদর্শন মল্লিক বলছেন, এই পুর্জি প্রথা নিয়ে আগে যে দুর্নীতি হতো তাও এই ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এর ফলে পুর্জি হারিয়ে যাওয়া বা কোনোভাবে হাতছাড়া হওয়া বা কারও কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়েছে।
জানা গেছে, এই ‘ডিজিটাল পুর্জি তথ্যসেবা বাস্তবায়নে সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন কর্মসূচি এবং চিনি ও খাদ্য শিল্প কপোরেশনকে সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। ইউএনডিপির সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএএম মোরশেদ বলছেন, এর ফলে চিনিকলগুলোকে মৌসুমের মাঝখানে আখের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হচ্ছে না, এগুলো আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এতে কৃষকদের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এবং তাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আহসান হাবিব, বিবিসি অবলম্বনে

Sunday, January 30, 2011

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া 
লেখকের নাম: মাইনূর হোসেন নিহাদ 

মোবাইল ফোনে নিত্যনতুন কনটেন্টসমূহের সংযোজনের পাশাপাশি এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বিনোদনের সব ধরনের সংযোজন সম্ভবপর হয়েছে।  আর এ সংখ্যায় আমরা যে সুবিধাটি মোবাইলের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব তা হলো গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা। আপনি আপনার গ্রামীণফোনের মাধ্যমে খুব সহজে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন। গ্রামীণফোন বিল-পে সার্ভিস আপনার জন্য বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল পরিশোধের এক সহজ এবং সুবিধাজনক সমাধান। এখন আপনি বাড়ির পাশের গ্রামীণফোন অনুমোদিত যেকোনো বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকেই বা আপনার জিপি মোবাইল থেকেই তিতাস গ্যাস বিলের পাশাপাশি ডিপিডিসি এবং ডেসকোর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন অনায়াসে সপ্তাহের ৭ দিন, যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়। সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক এই পদ্ধতিতে আপনার বিল পরিশোধের রেকর্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিলিটি কোম্পানিতে রক্ষিত আপনার লেজারে আপডেট হয়ে যায়।
গ্রামীণফোনের বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকে যেভাবে বিল দেবেন
* বিলের কপি বা বিল বই এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা নিয়ে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণফোন অনুমোদিত বিল-পে চিহ্নিত দোকানে যাবেন।

* যদি আপনার মোবাইল থাকে তা বিল-পে সিস্টেমে আপনার ইউটিলিটি কোম্পানির কনফার্মেশন নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বরের সাথে সংযুক্ত করতে বলুন। এতে আপনি বিল পরিশোধের পরপরই আপনার মোবাইলে বিল পরিশোধের কনফার্মেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।

* বিল-পে সার্ভিসের মাধ্যমে বিলটি পরিশোধ করতে বলুন।

* বিল পরিশোধের পর বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকে মানি রিসিট সংগ্রহ করুন এবং বিল পরিশোধের কনফার্মেশন মেসেজ পেয়েছেন কিনা নিশ্চিত হোন। আপনার কোনো মোবাইল না থাকলে বিল-পে চিহ্নিত দোকানের মোবাইলে বিল পরিশোধের মেসেজটি দেখে নিশ্চিত হবেন।

আপনার জিপি মোবাইল থেকে যেভাবে বিল দেবেন
এই সার্ভিসটি নিতে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন জন্য গ্রামীণফোন মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে Reg লিখে একটি স্পেস দিয়ে, কোম্পানি কোড লিখে আবারো একটি স্পেস দিন এবং বিলের অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখে ১২০০ তে এসএমএস করুন।

যেমন :
DPDC-এর ক্ষেত্রে Reg DPDC 12345678
DESCO-এর ক্ষেত্রে Reg DSCO 12345678
TITAS-এর ক্ষেত্রে Reg DSCO 12345678
BPDB-এর ক্ষেত্রে Reg BPDB 12345678

এক্ষেত্রে এখানে ১২৩৪৫৬৭৮ একটি নমুনা অ্যাকাউন্ট নম্বর। আপনি যে ইউটিলিটি কোম্পানির বিল দিতে চান, আপনাকে সেই কোম্পানির ইউটিলিটি অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে প্রথমে সিস্টেম থেকে পাঠানো পিন নম্বর পরিবর্তন করে নিন এবং প্রয়োজনমতো টাকা রিফিল করে আপনার মোবাইল থেকে বিল পরিশোধ শুরু করুন।

সার্ভিস চার্জ :
১) ৪০০ টাকা পর্যন্ত ৫ টাকা,
২) ৪০১ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ১০ টাকা,
৩) ১৫০১ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ১৫ টাকা,
৪) ৫০০০ টাকার উপরে ২৫ টাকা। 

লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া