Pages

Monday, December 2, 2013

মোবাইল রেডিয়েশন

মোবাইল রেডিয়েশন
-রোহিত সাধু খাঁ
কিছুকাল আগে, হয়ত একযুগ আগের কথা_ এদেশের মানুষ মোবাইল টেলিফোন ব্যবহারের কথা ভাবতই না। তখন যে সকল স্টুডিওতে ছবি তোলা হতো সেখানে স্টুডিওর মালিকরা একটা সংযোগবিহীন টেলিফোন রাখতেন। তখনকার দিনে ফোন কানে নিয়ে ছবি তোলা একটা প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার ছিল। বিদেশে আত্নীয়পরিজনের সঙ্গে কথা বলা লাগবে বাড়ি থেকে পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে ফোনের দোকানে যেতে যেন তাকে দেখা যাবে। এই যন্ত্রটার ওপর কৌতূহলের কোন শেষ ছিল না। এর পর এলো মোবাইল ফোন প্রথম তা ব্যবহার করত ব্যবসায়ী, উকিল, মোক্তার, বড় কর্মকতর্া, মন্ত্রী, এম পি। মোবাইল যারা ব্যবহার করত তারা সাধারণত চলত চার চাকায়। দিনে দিনে এখন একমাত্র পদব্রজ (পা) যাদের ভরসা তারাও এই বস্তু ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। জীবনে গতি বেড়েছে একথা অস্বীকার করা যাবে না; তবে ক্ষতিও যে বেড়েছে, পাঠক একটু চিনত্মা করলে আপনারাও হয়ত একমত হবেন। আসলে আপনাদের চিনত্মনে এখন কোন ক্ষতির কথা ঘুরছে তা হয়ত বোঝা যাবে না। কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি করছে এই মোবাইল ফোন থেকে বেড় হওয়া তেজস্ত্রিয়তা তথা রেডিয়েশন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক গবেষক প্রতিনিয়ত এর অপকারিতা কমানোর জন্য অক্লানত্ম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ফলসরূপ বেরিয়ে আসতে শুরম্নুকরেছে নানা ভয়ঙ্কর তথ্য। বিশ্বসাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ)-এর মতে মতে, বিশ্বব্যাপী গত দশ বছরে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। শুধু রেডিয়েশনের কারণে শরীরের টিউমার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হচ্ছে। এছাড়াও মাথাব্যথা, অবসাদ, বিরক্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণের জন্য বিছানায় বসে থাকাসহ নানাবিধ সমস্যা এই মোবাইল রেডিয়েশনের কারণে দিন দিন বাড়ছে । এভাবে বাড়তে থাকলে হয়ত এক দিন দেখা যাবে পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও প্যান্টের পকেট বা বেল্টের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখার কারণে ২৫ ভাগ শুক্রাণু বা স্পার্মের উৎপাদন কম হচ্ছে। শার্টের পকেটে রাখার কারণে হার্টের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ কথা চালিয়ে যাওয়ার সময় কানের কাছে মোবাইল ফোন রাখার কারণে কানের পাশে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং মাথা ব্যথা শুরম্নু হয়। কারও যদি আগে থেকেই কানের পাশে বা মাথার কোন অংশে টিউমার থেকে থাকে তা মোবাইল রেডিয়েশনের প্রভাবে আরও ত্বরান্বিত হয়। পাঠক, ওসব ভয়ঙ্কর কথায় আপনাদের আতঙ্কিত করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই সকল হতাশার পড়ে আশার কিছু কথা বলাই মূল উদ্দেশ্য। উপরে বসে যিনি কলকাঠি নারাচ্ছেন তিনি অাঁধারের পরে আলোর নিয়ম করে রেখেছেন। কিছু ব্যাপার মানলে এই রেডিয়েশনের প্রভাব থেকে একেবারে মুক্তি না মিললেও কিছুটা হলেও কমানো যায়। নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রেখে মোবাইল ব্যবহার করলে রেডিয়েশন অনেক কম প্রভাবিত করতে পারবে আমাদের শরীরকে।
০ কথা বলার সময়ের দৈর্ঘ্য কমাতে হবে। অথবা বেশি সময় কথা বলার ক্ষেত্রে কান পরিবর্তন করে কথা বলতে হবে ।
০ একটানা অবশ্যই ৫ মিনিটের বেশি কথা বলা উচিৎত হবে না।
০ কথা বলার সময় মোবাইল ফোনটির অবস্থান আপনার কান থেকে কৌণিক, রৈখিক ও উচ্চতার দিক থিকে বার বার পরিবর্তন করম্নন।
০ স্পিকার ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে স্পিকার ফোন ব্যবহার করে কথা বলা সমস্যা সেখানে তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করা যাবে, আবশ্যই বস্নুটুথ ডিভাইস নয়।
০ কাথা বলার সময় ফোনটি আপনার শরীর থেকে অন্তত ৬ সেন্টিমিটার দূরে রাখুন। স্মার্টফোন বা আইফোনের ক্ষেত্রে আরও বেশি।
০ প্যান্ট বা শার্টের পকেটে ফোন না রেখে হাতে রাখা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
০ কম ফ্রিকোয়েন্সি তথা যেখানে নেটওয়ার্ক পেতে সমস্যা মনে হয় সেখানে ফোনে কথা না বলা।
০ ফোনে যখন কল গ্রহণ করছেন বা কারও কাছে কল করছেন কানেক্ট হওয়ার আগ পর্যনত্ম শরীর থেকে দূরে রাখা।
০ রেডিয়েশন নিরোধক চিপ ব্যবহার করা। অথবা রেডিয়েশন নিরোধক ডিভাইস ব্যবহার করা। যদিও সেই অর্থে কোন রেডিয়েশন নিরোধক ডিভাইস বাজারে আসেনি। ছ-ষরহশ একটি ডিভাইস পাওয়া যায় যা লকেট, পেন্ডেন্ট অথবা ব্রেসলেট হিসেবে পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় টাকায় যার নূনতম দাম ১৫০০০ টাকা।
০ শোবার সময় মোবাইল ফোনটি অবশ্যই মাথার কাছ থেকে দূরে রাখা।
মোবাইল রেডিয়েশন তথা আরএফ ফ্রিকোয়েন্সি শুধু মনুষেরই ক্ষতি করে না গাছের ফল না ধরা বা ফল ধরা কমে যাওয়ার পেছনে এর বড় প্রভাব রয়েছে। এই রেডিয়েশন গাছের মিউটেশনের জন্য দায়ী। এমনও হয় রেডিয়েশনের প্রভাবে গাছের চারিত্রিক গঠন পরিবর্তিত হয়ে যায়্।
এ থেকে গাছ বাঁচানোর জন্য নেটওয়ার্ক জাম্পার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট এলাকা সিগনাল মুক্ত রাখা যেতে পারে। এতে গাছের ফলের পরিমাণ বাড়বে, পরাগরেণু ঝরে পরবে না।
Source: http://www.dailyjanakantha.com

এন্টি-রেডিয়েশন কিট বা ষ্টিকারের জন্য ফোন করুন এই নাম্বারে: 01822666703, মূল্য: ৳330

Source: http://bikroy.com

 

মোবাইল ফোনের এন্টি রেডিয়েশন কেস Pong releases anti radiation mobile case

 

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে ক্যান্সার হয় কিনা সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। কিছু ক্ষতি হয় এটা যদিও নিশ্চিত। সেই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এন্টি রেডিয়েশন কেস বাজারে ছেড়েছে পং নামে এক কোম্পানী। এটা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ৬০ ভাগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে বলা হয়েছে।
সিইএস এ দেখানো এই কেসের দাম ৪৯.৯৫ ডলার। ব্লাকবেরি সেটের কয়েকটি মডেলের জন্য পাওয়া যাচ্ছে। যারা ল্যাবরেটরীতে এটা পরীক্ষা করেছেন তারা বলছেন এটা কাজ করে।
সেল ফোনগুলি নেটওয়ার্ক থেকে সিগন্যাল গ্রহন করে এবং সেট থেকে সিগন্যাল পাঠায়। এই সিগন্যালগুলি সবদিকেই যায় ফলে সেট থেকে সরাসরি কোনদিকে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় না। ব্যবহারকারীর মাথায় প্রবেশ করে। এই ব্যবস্থায় দ্বিতীয় আরেকটি এন্টেনা ব্যবহার করা হয়েছে যা সিগন্যালকে মস্তিস্কের বিপরীত দিকে সরিয়ে দেয়।
পং এর আগে আইফোন এর জন্য কেস বাজারে ছেড়েছে। ড্রয়েড এবং নেক্সাস ওয়ানের কেসিংও অল্পদিনেই পাওয়া যাবে।
বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই এটা আকর্ষনীয় ব্যবসা হতে পারে সন্দেহ নেই।


মোবাইলে চার্জ যখন সর্বনিন্ম পর্যায়ে থাকে তখন এর থেকে দূরে থাকা মানে ব্যাবহার না করাই ভালো কারন তখন এর রেডিয়েশন ১০০ গুন বেড়ে যায় আর তা পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরবর্তী রেডিয়েশনের সমান।
Source: http://www.beshto.com


Cell Phone Radiation Protection-10 Tips:

No comments:

Post a Comment