Pages

Monday, January 31, 2011

আখ বিক্রিতে এবার ডিজিটাল পুর্জি

আখ বিক্রিতে এবার ডিজিটাল পুর্জি


একজন কৃষক যে ফসল ফলান, তা যদি তিনি সময়মত বিক্রি করতে না পারেন, তাহলে তাদের বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়। তা যেন না হয়, সে জন্য মোবাইল ফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি সমন্বিত সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে বাংলাদেশে। ‘ডিজিটাল পুর্জি’ নামে এ পদ্ধতির সফল পরীক্ষা চালানো হয়েছে এ বছর ফরিদপুর আর ঝিনাইদহের আখচাষীদের মধ্যে—যারা ওই এলাকার চিনিকলগুলোয় আখ বিক্রি করেন।
মোবাইল ফোনেই কেনাবেচার তথ্য
কৃষকদের জন্য তাদের উত্পাদিত কৃষিপণ্য সময়মত বিক্রি করতে পারাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেক সময়ই কৃষিপণ্য একটা নির্দিষ্ট সময়ের বেশি ফেলে রাখলেই তার মান খারাপ হতে শুরু করে এবং দামও পড়তে শুরু করে। কৃষককে তখন বাধ্য হয়ে লোকসান দিয়ে পণ্য বিক্রি করতে হয়। কৃষকদের যেন এভাবে লোকসান দিতে না হয়, সেজন্য মোবাইল ফোনে তাদের তথ্যসেবা দেয়ার একটি পদ্ধতি এ বছর সফলভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে ফরিদপুর আর ঝিনাইদহে আখচাষীদের মধ্যে।
ডিজিটাল পুর্জি যেভাবে কাজ করে
এ দু’টি চিনিকলের জন্য যে চাষীরা আখ সরবরাহ করেন, তারা কবে, কখন এবং কী পরিমাণ আখ মিলগেটে নিয়ে আসবেন, তার নোটিশটি তারা পান তাদের মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে। এ নোটিশকে বলে পুর্জি। এ পুর্জি প্রথা চলছে প্রায় ২০০ বছর ধরে। আগে তা দেয়া হতো কাগজে লিখে, অনেক সময়ই তা হারিয়ে যেত বা অনেক অসাধু লোক বিক্রি করে দিত। ফলে অনেক আখচাষীই তাদের ক্ষেতের আখ কাটার পরও সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি করতে পারতেন না। দিনের পর দিন আখ ফেলে রাখতে হতো। ফলে তা শুকিয়ে যেত এবং বিক্রি করার সময় তার দামও অনেক কমে যেত।
তবে এখন ঝিনাইদহ এবং ফরিদপুরের চিনিকলগুলোয় আখ সরবরাহকারী প্রায় ২০ হাজার কৃষক এখন এ ডিজিটাল পুর্জির সুবিধা পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
চিনিকলের সার্ভার রুম থেকে একটা সমন্বিত পদ্ধতিতে এলাকার চাষীদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠিয়ে জানিয়ে দেয়া হয় কোন দিন কাকে কী পরিমাণ আখ বিক্রির জন্য চিনিকলে নিয়ে আসতে হবে।
মোবাইলে পুর্জি চালু হওয়ার পর মোবারকগঞ্জ চিনিকলের চাষীরা এখন পরিকল্পনা করে আখ কাটছেন এবং তা নির্দিষ্ট দিনেই বিক্রি করতে পারছেন। ফলে লোকসানের সম্ভাবনা আর থাকছে না। আখচাষী আয়নাল হোসেন জানান, পুর্জির মেসেজটি ইংরেজিতে এলেও তার অর্থ বুঝতে খুব একটা অসুবিধা হচ্ছে না, দরকার পড়লে তিনি তার ছেলে বা অন্য কাউকে জিজ্ঞাস করে নিচ্ছেন। পুর্জি নিয়ে আগে যে দুর্নীতি হতো তা ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঝিনাইদহের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুদর্শন মল্লিক বলছেন, এই পুর্জি প্রথা নিয়ে আগে যে দুর্নীতি হতো তাও এই ডিজিটাল পদ্ধতি প্রবর্তনের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো, এর ফলে পুর্জি হারিয়ে যাওয়া বা কোনোভাবে হাতছাড়া হওয়া বা কারও কাছে বিক্রি হয়ে যাওয়ার পথও বন্ধ হয়েছে।
জানা গেছে, এই ‘ডিজিটাল পুর্জি তথ্যসেবা বাস্তবায়নে সরকারের একসেস টু ইনফরমেশন কর্মসূচি এবং চিনি ও খাদ্য শিল্প কপোরেশনকে সহায়তা দিয়েছে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি বা ইউএনডিপি। ইউএনডিপির সহকারী কান্ট্রি ডিরেক্টর কেএএম মোরশেদ বলছেন, এর ফলে চিনিকলগুলোকে মৌসুমের মাঝখানে আখের অপেক্ষায় আর বসে থাকতে হচ্ছে না, এগুলো আরও দক্ষভাবে পরিচালিত হচ্ছে। এতে কৃষকদের আয় ও জীবনযাত্রার মান বেড়েছে এবং তাদের ক্ষমতায়ন হয়েছে বলেও তিনি জানান।

আহসান হাবিব, বিবিসি অবলম্বনে

Sunday, January 30, 2011

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া 
লেখকের নাম: মাইনূর হোসেন নিহাদ 

মোবাইল ফোনে নিত্যনতুন কনটেন্টসমূহের সংযোজনের পাশাপাশি এখন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহার এবং বিনোদনের সব ধরনের সংযোজন সম্ভবপর হয়েছে।  আর এ সংখ্যায় আমরা যে সুবিধাটি মোবাইলের মাধ্যমে পাওয়া সম্ভব তা হলো গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা। আপনি আপনার গ্রামীণফোনের মাধ্যমে খুব সহজে গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন। গ্রামীণফোন বিল-পে সার্ভিস আপনার জন্য বিদ্যুৎ এবং গ্যাস বিল পরিশোধের এক সহজ এবং সুবিধাজনক সমাধান। এখন আপনি বাড়ির পাশের গ্রামীণফোন অনুমোদিত যেকোনো বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকেই বা আপনার জিপি মোবাইল থেকেই তিতাস গ্যাস বিলের পাশাপাশি ডিপিডিসি এবং ডেসকোর বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে পারবেন অনায়াসে সপ্তাহের ৭ দিন, যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়। সম্পূর্ণ ইলেকট্রনিক এই পদ্ধতিতে আপনার বিল পরিশোধের রেকর্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইউটিলিটি কোম্পানিতে রক্ষিত আপনার লেজারে আপডেট হয়ে যায়।
গ্রামীণফোনের বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকে যেভাবে বিল দেবেন
* বিলের কপি বা বিল বই এবং প্রয়োজনীয় পরিমাণ টাকা নিয়ে আপনার নিকটস্থ গ্রামীণফোন অনুমোদিত বিল-পে চিহ্নিত দোকানে যাবেন।

* যদি আপনার মোবাইল থাকে তা বিল-পে সিস্টেমে আপনার ইউটিলিটি কোম্পানির কনফার্মেশন নম্বর বা অ্যাকাউন্ট নম্বরের সাথে সংযুক্ত করতে বলুন। এতে আপনি বিল পরিশোধের পরপরই আপনার মোবাইলে বিল পরিশোধের কনফার্মেশন মেসেজ পেয়ে যাবেন।

* বিল-পে সার্ভিসের মাধ্যমে বিলটি পরিশোধ করতে বলুন।

* বিল পরিশোধের পর বিল-পে চিহ্নিত দোকান থেকে মানি রিসিট সংগ্রহ করুন এবং বিল পরিশোধের কনফার্মেশন মেসেজ পেয়েছেন কিনা নিশ্চিত হোন। আপনার কোনো মোবাইল না থাকলে বিল-পে চিহ্নিত দোকানের মোবাইলে বিল পরিশোধের মেসেজটি দেখে নিশ্চিত হবেন।

আপনার জিপি মোবাইল থেকে যেভাবে বিল দেবেন
এই সার্ভিসটি নিতে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন জন্য গ্রামীণফোন মোবাইল থেকে মেসেজ অপশনে গিয়ে Reg লিখে একটি স্পেস দিয়ে, কোম্পানি কোড লিখে আবারো একটি স্পেস দিন এবং বিলের অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখে ১২০০ তে এসএমএস করুন।

যেমন :
DPDC-এর ক্ষেত্রে Reg DPDC 12345678
DESCO-এর ক্ষেত্রে Reg DSCO 12345678
TITAS-এর ক্ষেত্রে Reg DSCO 12345678
BPDB-এর ক্ষেত্রে Reg BPDB 12345678

এক্ষেত্রে এখানে ১২৩৪৫৬৭৮ একটি নমুনা অ্যাকাউন্ট নম্বর। আপনি যে ইউটিলিটি কোম্পানির বিল দিতে চান, আপনাকে সেই কোম্পানির ইউটিলিটি অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখতে হবে। রেজিস্ট্রেশন করা হয়ে গেলে প্রথমে সিস্টেম থেকে পাঠানো পিন নম্বর পরিবর্তন করে নিন এবং প্রয়োজনমতো টাকা রিফিল করে আপনার মোবাইল থেকে বিল পরিশোধ শুরু করুন।

সার্ভিস চার্জ :
১) ৪০০ টাকা পর্যন্ত ৫ টাকা,
২) ৪০১ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত ১০ টাকা,
৩) ১৫০১ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত ১৫ টাকা,
৪) ৫০০০ টাকার উপরে ২৫ টাকা। 

লেখাটি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড করুন
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল দেয়া