Pages

Saturday, February 19, 2011

আ দ ব কে তা : মোবাইলের ব্যবহার ও যোগাযোগ দক্ষতা...

আ দ ব কে তা : মোবাইলের ব্যবহার ও যোগাযোগ দক্ষতা...

- মোহাম্মদ মারূফ খাঁন

একটা গান আছে না? গাড়ি চলে না চলে না চলে না রে, গাড়ি চলে না...। যান্ত্রিক সভ্যতাও আমাদের অনেক সময় অচল করে দেয়। যেমন, চাইনিজ মোবাইলের বদৌলতে আমাদের প্রায়ই বিভিন্ন বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। ফলে অনেক সময়ই মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, মনে হয় যেন নির্বাসনে গেছি। সর্বস্তরের মানুষের কাছে মোবাইল নিঃসন্দেহে একটি অতি প্রয়োজনীয় এবং সার্বক্ষণিক ব্যবহার্য বন্ধুতে পরিণত হয়েছে। বর্তমান সভ্যতায় এর প্রয়োজনীয়তাকে অস্বীকার করারও কোনো উপায় নেই। কিন্তু এই মোবাইলের যাচ্ছেতাই এবং যত্রতত্র ব্যবহার আমাদের ব্যক্তিত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে। সেদিক থেকে মোবাইল ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের যত্নবান বা সচেতন হওয়া আবশ্যক।

যেমন—বেশি আওয়াজ করে কথা না বলা ভালো। আবার পাবলিক প্লেসে যেমন বাসে, ট্রেনে... ফানে কথা না বলাই ভালো। মানে কেউ ফোন করলে আপনি বলতে পারেন—‘আমি বাসে,... পরে কলব্যাক করছি।’ অনেকে আবার একান্ত ব্যক্তিগত কথাবার্তা পাবলিক প্লেসে মোবাইলে বলে, এটা অবশ্যই অন্যদের প্রাইভেসিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আসলে আমাদের এমনভাবেই কথা বলা উচিত যেন আশপাশে অবস্থানরত অন্যরা বিরক্ত না হন। অনেকেই ফোনে জোরে আওয়াজ করে করে কথা বলে এটা নিয়ন্ত্রণ করা আবশ্যক।
রিং হলে অবশ্যই ফোন রিসিভ করুন। সংক্ষেপে কথা শেষ করতে পারাটা বড় দক্ষতা; ফলে সংক্ষেপে কথা সারুন। ফোনের রিংটোনের আওয়াজ ছোট করে রাখুন। ব্যস্ততার কারণে যদি ফোন ধরা সম্ভব না হয় তবে ফোন বন্ধ করে রাখুন, আর একান্ত প্রয়োজন হলে মিউট করে রাখুন বা মিসকল অ্যালার্ট অপশন রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। মসজিদ, হাসপাতাল, স্কুল—এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অবশ্যই মোবাইল মিউট করে রাখুন।
অনেকেই বিভিন্ন ধরনের রিংটোন ব্যবহার করেন। রিংটোন পছন্দ করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা ভালো, কারণ রিংটোন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রকাশ করে। মনে রাখা ভালো ফোন আমাদের, কিন্তু ওই ফোনে মূলত অধিকার অন্যের। ফোন রিসিভ করে অনেকেই বেশ বিরক্তভাবে কথা শুরু করি, এটা একেবারেই ঠিক নয়; কারণ আমাদের ফোন আছে বলেই অন্যরা ফোন করেছেন। আমাদের অধিকারই নেই অন্যকে কষ্ট দেয়া। অনর্থক কাউকে ফোন করবেন না। ফোন করলেই নিজের পরিচয় দিন এবং যাকে চাচ্ছেন সে-ই ফোন ধরেছেন কিনা নিশ্চিত হয়ে কথা বলুন। অন্তত মোবাইলে কাউকেই বলা উচিত নয়—‘এটা কোন জায়গা?’ মনে রাখা ভালো, মোবাইল কোনো স্থানে স্থির থাকে না। অবশ্যই মোবাইলে কাউকে অধিক রাতে বা ব্যক্তিগত সময়ে ফোন করা উচিত নয়। কথা শেষ হলে অনুমতি নিয়ে কথা শেষ করুন, হুট করে কল কেটে দেবেন না; এটা আমাদের আদবের নেতিবাচক দিককেই পরিচিত করে তোলে।
মোবাইলে মিসকল দিয়ে কাউকে বিরক্ত করা একেবারেই অনুচিত কাজ। গাড়ি বা যে কোনো যানবাহন চালানো অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করবেন না। বদ্ধ স্থানে মোবাইল ব্যবহার না করা ভালো। যে কোনো ধরনের সেবা দানকালে মোবাইল বন্ধ রাখুন। মোবাইলে অন্যের অনুমতি না নিয়ে ফটো তুলবেন না। কিছু ক্ষেত্র আছে অনুমতি নিয়েও ফটো তোলা ঠিক নয়, সেটা কমনসেন্স দিয়ে বুঝে নেয়া ভালো। কারও নাম্বার অনুমতি ছাড়া অন্যকে প্রদান করা থেকে বিরত থাকা ভালো। কারও সঙ্গে মিটিং করছেন, এ সময় মোবাইল বন্ধ রাখাই ভালো, যদি মোবাইল রিসিভ করতেই হয় তবে অনুমতি নিয়ে মোবাইল রিসিভ করুন। রাস্তা পারাপাররত অবস্থায় বা রাস্তায় হেঁটে চলা অবস্থায় মোবাইল যত কম ব্যবহার করা যায় তত ভালো। আমাদের সন্তানদের মোবাইল ব্যবহারের দিকে নজর রাখুন। একান্ত প্রয়োজন ছাড়া অন্যের মোবাইল নম্বর না নেয়া ভালো। রাত জেগে ফোন করা থেকে বিরত থাকা ভালো। রাতে মোবাইল বন্ধ রাখা ভালো, আর যদি খুলেই রাখেন সেক্ষেত্রে রিং হলে বিরক্ত হওয়া বাঞ্ছনীয় নয়। কারো জীবনে এমনটা না ঘটুক! মানুষের জীবনে কখন কি ঘটে বলা মুশকিল। রাত-বিরাতেও অনেক সময় অনাকাঙ্খিত কোনো ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে কোনো বিপদ আপদে কাছের মানুষ, আত্মীয় স্বজন কিংবা পাড়া প্রতিবেশীরা আপনার সাহায্য চাইতেই পারে। এরকম সম্ভাবনা থাকলে রাতে মোবাইল চালু রাখার প্রয়োজন আছে।

Tuesday, February 15, 2011

মোবাইলের ৯ দাওয়াই

মোবাইলের ৯ দাওয়াই
মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে গিয়ে ছোটখাটো সমস্যা হয়ই। সমস্যা সমাধানে কেউ ছোটেন অভিজ্ঞদের কাছে, কেউ বা কেয়ার সেন্টারে। তবে একটু চেষ্টা করলে নিজেই নিজের মোবাইল ফোন ঠিক করা যায়। মোবাইল ফোনের সাধারণ কিছু সমস্যা ও সমাধান নিয়ে বিস্তারিত জানাচ্ছেন আল-আমিন কবির জানাচ্ছেন আল-আমিন কবির
ভুলে গেছি পাসওয়ার্ড!
তথ্য সুরক্ষাসহ অনেক কারণেই পাসওয়ার্ড দিয়ে মোবাইল ফোন লক করে রাখেন অনেকে। পরবর্তী সময়ে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে কোনো কাজ করার আগে পাসওয়ার্ড দিয়ে এটি সক্রিয় করতে হয়। নকিয়া ১১০০ এবং এ ধরনের মডেলের মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীরা পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও এর তথ্যগুলো দেখতে এবং কল করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে Menu বাটনটি চাপতে হবে। এবার সিকিউরিটি কোড বা পাসওয়ার্ড চাইবে মোবাইল ফোনটি। এবার চাপতে হবে Back (Go to) বাটন। এখন আবার Unlock (Menu) চেপে দুই সেকেন্ড পর্যন্ত একটানা ধরে রাখুন। দুই সেকেন্ড পর স্ক্রিনে দেখা যাবে Now Press * নামের একটি কমান্ড। এটি মুহূর্তের মধ্যেই আবার মিলিয়ে যাবে। তাই এ পর্যায়ে একটু সতর্ক থেকে কমান্ডটি দেখার সঙ্গে সঙ্গেই Unlock (*) বাটন চাপতে হবে। দেখা যাবে, পাসওয়ার্ড ছাড়াই ফোনের লক খুলে গেছে


স্মার্টফোনের তথ্য ব্যাকআপনকিয়ার সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেমের স্মার্টফোনে প্রয়োজনের অতিরিক্ত তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করলে এটি অনেক ধীরগতির হয়ে যায়। অনেক সময় ফোনের তথ্যগুলোও হারিয়ে যায়। আবার অনেকে এক ফোন থেকে অন্য ফোনেও তথ্য স্থানান্তর করতে চান। এ ক্ষেত্রে তথ্যের নিরাপত্তার জন্য কম্পিউটারে নকিয়া স্মার্টফোনের তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে সেভ করে রাখতে পারেন। এ জন্য নকিয়া পিসি স্যুইট সফটওয়্যারটি কম্পিউটারে ইনস্টল করা থাকতে হবে। http://www.nokia.co.in/support/download-software/nokia-pc-suites থেকে বিনা মূল্যে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যায়। এবার মোবাইল ফোনটি ডেটা কেব্ল্ অথবা ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। পিসি স্যুইট সফটওয়্যারটি Open করলে পাওয়া যাবে ব্যাকআপ অপশন। এখানে ক্লিক করলে ব্যাকআপ ও রিস্টোর নামের দুটি অপশন পাওয়া যাবে। এবার ব্যাকআপ লেখা বাটনে ক্লিক করে কোন কোন তথ্যের ব্যাকআপ নিতে চান এবং সেগুলো কোথায় সেভ করবেন, তা নির্বাচন করুন। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্মার্টফোনের তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে কম্পিউটারে সেভ করা যাবে। একই পদ্ধতিতে তথ্যগুলো মোবাইল ফোনে আবার রিস্টোরও করা যাবে। এ জন্য ব্যাকআপ বাটনের বদলে চাপতে হবে রিস্টোর বাটন।

সিমবিয়ান স্মার্টফোন ফরম্যাটঅনেক ব্যবহার, ভাইরাসের আক্রমণ, অতিরিক্ত সফটওয়্যার ইনস্টলসহ বেশ কিছু কারণে সিমবিয়ান অপারেটিং সিস্টেম-নির্ভর হ্যান্ডসেটগুলো ধীরগতির হয়ে যায়। অনেক সময় এটি কাজ করে না। সে ক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটটি ফরম্যাট করে সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে। কম্পিউটার ছাড়াও মোবাইল ফরম্যাট করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রথমে স্মার্টফোনটি বন্ধ করে নিতে হবে। এবার একসঙ্গে স্টার (*), তিন (৩) ও কলিং বাটন বা সবুজ বাটন চেপে ধরে রাখতে হবে। একসঙ্গে চেপে ধরে রাখতে না পারলে এটি কাজ করবে না। চেপে রাখার পর এর অন সুইচ চেপে মোবাইলটি চালু করতে হবে। সম্পূর্ণ চালু না হওয়া পর্যন্ত স্টার (*), তিন (৩) ও কলিং বাটন বা সবুজ চেপে ধরে রাখতে হবে। এতে স্মার্টফোনের সব তথ্য মুছে যাবে এবং হ্যান্ডসেটটি ফরম্যাটও হয়ে যাবে। এরপর এতে নতুন সেটের মতোই কাজের গতি পাওয়া যেতে পারে। তবে সব তথ্য মুছে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো ব্যাকআপ হিসেবে কম্পিউটার বা মোবাইল ফোনে নিয়ে রাখা যাবে।


মোবাইলে বাংলা দেখামোবাইল ফোনে বিল্টইন-ভাবে বাংলা ফন্ট না থাকলে স্বাভাবিকভাবে বাংলা ওয়েবসাইট দেখা যায় না। তবে অপেরা ব্রাউজার ব্যবহার এবং কনফিগারেশন ঠিক করে যেকোনো বাংলা ইউনিকোড ওয়েবসাইট দেখার সুযোগ রয়েছে। প্রথমে www.operamini.com থেকে অপেরা ব্রাউজারটি ডাউনলোড করে নিতে হবে। এবার অপেরা চালু করে অ্যাড্রেস বারে টাইপ করতে হবে opera:config। এরপর ok বাটনটি চাপতে হবে। নতুন পেইজে Use bitmap fonts for complex scripts-এর সেটিংস পরিবর্তন করে YES করতে হবে। এরপর সেভ করে বেরিয়ে আসতে হবে। এবার মোবাইল ফোনে বাংলা ইউনিকোড সমর্থিত ওয়েবসাইটগুলো পড়তে পারবেন।


আইকনবিহীন ফোল্ডার তৈরিমোবাইল ফোনে ফোল্ডার বানানোর সময় সাধারণত একটি আইকন তৈরি হয়ে যায়। এ আইকনের ফলে বোঝা যায় ভেতরে কী ধরনের ফাইল রয়েছে। তবে ভেতরের ফাইলের প্রকৃতি বুঝতে দিতে না চাইলে আইকনবিহীন ফোল্ডারও তৈরি করা যাবে। এ জন্য প্রথমে তৈরি করুন একটি ফোল্ডার। এবার ওই ফোল্ডারে তথ্য বা ফাইলগুলো রাখুন। এবার ফোল্ডারে ফিরে এসে এর Rename অপশনের মাধ্যমে ফাইলের নামের শেষে .otb এঙ্টেনশন যোগ করতে হবে। যেমন_Music নামে ফোল্ডার বানালে তার নাম হবে Music.otb। এবার দেখা যাবে ফোল্ডারের আইকনটি আর নেই। এবার ভেতরে কী কী ফাইল আছে, সেগুলোও তাই বাইরে থেকে বোঝার কোনো উপায় নেই।

কিছু গোপন কোড

মোবাইলের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইক্যুইপমেন্ট আইডেনটিটি বা আইএমইআই নম্বর জানার জন্য চাপতে হবে *#০৬#, ফ্যাক্টরি সেটিং রিস্টোর করার জন্য *#৭৭৮০#, সফটওয়্যারের সংস্করণ দেখার জন্য *#0000#, ব্লটুথ ডিভাইসের ঠিকানা এবং অন্যান্য তথ্য জানার জন্য *#2820#, ওয়্যারলেস লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্কিংয়ের ম্যাক অ্যাড্রেস দেখার জন্য *#62209526#, মোবাইলের সিরিয়াল নম্বর জানার জন্য *#৭৭৬০#, সব কল ডাইভার্ট করার জন্য **21*number# চেপে কল কি চাপতে হবে। স্যামসাং মোবাইলের জন্যও বেশ কিছু গোপন কোড রয়েছে। সফটওয়্যার সংস্করণ জানার জন্য *#9999#,, সিরিয়াল নম্বর জানতে *#0001#, ব্যাটারির অবস্থা জানতে *#9998*246# এবং ভাইব্রেশন পরীক্ষা করার জন্য #9998*842# ~ *#8999*842# বাটন চাপতে হবে।

মোবাইলে ফোল্ডার লুকিয়ে রাখামোবাইল ফোনে সাধারণভাবে কোনো ফোল্ডার লুকিয়ে রাখা যায় না। ফাইল ম্যানেজার থেকে সব ধরনের ফোল্ডারই দেখা যায় মোবাইল মেমোরি থেকে। তবে একটু বুদ্ধি করে মোবাইলেই যেকোনো ফোল্ডার লুকিয়ে রাখা যায়। এ জন্য প্রথমে মোবাইল মেমোরিতে একটি ফোল্ডার তৈরি করুন। ফোল্ডারের শেষে এঙ্টেনশন হিসেবে .jad ব্যবহার করতে হবে। যেমন_music নামে কোনো ফাইল তৈরি করলে ফাইলটির পুরো নাম হবে music.jad। এবার যে ফাইলগুলো লুকিয়ে রাখা প্রয়োজন, সেগুলো music.jad ফোল্ডারে ঢুকিয়ে নিতে হবে। এবার একই নামে একই রুটে আরো একটি ফোল্ডার তৈরি করতে হবে। যেহেতু আমরা আগে music নামে ফোল্ডার তৈরি করেছি, তাই নতুন ফোল্ডারটিও হবে music নামে। তবে এবার ফোল্ডারটি রিনেম করে এঙ্টেনশন হিসেবে .jar যুক্ত করতে হবে। পুরো ফাইলটির নাম হবে তাহলে music.jar। নতুন ফাইলটি তৈরি হওয়ার পর মোবাইল থেকে দেখা যাবে আগের ফোল্ডারটি উধাও হয়ে গেছে! আগের ফোল্ডারটি আর দেখা যাবে না। ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলো দেখার জন্য মেমোরি কার্ড খুলে অথবা ডেটা কেব্ল্ দিয়ে কম্পিউটারের সঙ্গে ফোন সংযুক্ত করে ফোল্ডার থেকে ফাইলগুলো বের করা যাবে।

ভুলে গেলে মেমোরি কার্ড পাসওয়ার্ডমোবাইল ফোনে মেমোরি কার্ড সুবিধা থাকায় অনেকেই গোপনীয় তথ্যাবলি মেমোরি কার্ডেই সংরক্ষণ করে থাকেন। তবে নিরাপত্তার খাতিরে সেগুলোতে পাসওয়ার্ডও দিয়ে রাখেন অনেকে। তথ্যগুলো দেখার জন্য অবশ্যই পাসওয়ার্ডটি মনে রাখতে হয়। তবে পাসওয়ার্ড ভুলে গেলেও বিকল্প উপায়ে তথ্য রিকাভার করার সুযোগ রয়েছে। এ জন্য অবশ্য মোবাইলে এফএঙ্প্লোরার নামের একটি সফটওয়্যার ইনস্টল করা থাকতে হবে। www.gosymbian.com/FE_download.html থেকে সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করা যাবে। সফটওয়্যার ইনস্টল শেষে চালু করুন। এরপর C:—-Szstem—-(mmcstore)file-টা Copy করে মেমোরি কার্ডে Paste করতে হবে। মেমোরি কার্ডে Copy করা mmcstore file-টির শেষে .txt এঙ্টেনশন যুক্ত করুন। তাহলে ফাইলের নামটি হবে mmcstore.txt। এরপর কম্পিউটারে ফাইলটি ব্লুটুথ, ডেটা কেব্ল্ বা অন্য কোনো মাধ্যমে পাঠান। এবার ফাইলটি কম্পিউটারে খুলে Text Document-এ দেখা যাবে, মেমোরি কার্ডের পাসওয়ার্ডটি দেওয়া রয়েছে।

মডেম হিসেবে মোবাইল ফোনইন্টারনেট সমর্থক মোবাইল ফোনকে মডেম হিসেবে ব্যবহার করারও সুযোগ রয়েছে। এ জন্য প্রতিটি মোবাইলের জন্য আলাদা সফটওয়্যারের প্রয়োজন হয়। নকিয়া মোবাইল মডেম হিসেবে ব্যবহার করতে নকিয়া পিসি স্যুট এবং স্যামসাং মোবাইল ব্যবহার করার জন্য স্যামসাং স্টুডিও সফটওয়্যার (www.brothersoft.com/samsung-pc-studio-78015.html) ইনস্টল করতে হয় কম্পিউটারে। সেটআপ শেষে সফটওয়্যার খুলে ডেটা কেব্ল্ অথবা ব্লুটুথ সংযোগের মাধ্যমে কম্পিউটারের সঙ্গে মোবাইল ফোন সংযুক্ত করে নিতে হবে। এরপর নকিয়ার ক্ষেত্রে connect to the internet লেখা বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর One Touch Access নামের একটি বঙ্ আসবে, সেখানে প্রথমে Settings বাটনে ক্লিক করুন। এবার নিচে Next বাটনে ক্লিক করুন। Configure the connection manually লেখার বাঁ পাশে গোল চিহ্নটি মার্ক করুন। এবার নিচে Next বাটনে ক্লিক করুন। এবার অAccess Point লেখা খালি বঙ্ েইন্টারনেট অ্যাকসেস ঠিকানাটি লিখতে হবে 'অ্যানড্রয়েড'। যেমন_গ্রামীণফোন ইন্টারনেটের জন্য gpinternet, বাংলালিংকের জন্য internet লিখতে হবে। User name ও Password-এর ঘরে কিছু লেখার প্রয়োজন নেই। এবার নিচে Finish বাটনে ক্লিক করতে হবে। এরপর One Touch Access-এ গিয়ে Connect বাটনে ক্লিক করুন। ইন্টারনেটের সঙ্গে কম্পিউটারটি সংযুক্ত হয়ে যাবে।

মোবাইল ফোন প্রজনন ক্ষমতা কমায়!

মোবাইল ফোন প্রজনন ক্ষমতা কমায়!


সম্প্রতি মার্কিন গবেষকরা জানিয়েছেন, মোবাইল ফোন ব্যবহারে পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। মোবাইল চালু করে প্যান্টের পকেটে রাখলে পুরুষের শুক্রাণুতে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে এবং তা কমে প্রায় অর্ধেক হয়ে যায়। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
সংবাদ মাধ্যমটির বরাতে জানা গেছে, মোবাইল ফোন ব্যবহারে প্রজনন ক্ষমতা হ্রাস পায় এ বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি সাতটি দেশে গবেষণা চালিয়েছেন গবেষকরা। আমেরিকা, চীন এবং অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা জানিয়েছেন, চালু থাকা মোবাইল ফোন প্যান্টের পকেটে হলে তা শুক্রাণু তৈরির পরিমাণ কমিয়ে দেয়।
নোবেল জয়ী মার্কিন গবেষক ডেভরা ডেভিস জানিয়েছেন, ‘বাবা হতে চাচ্ছেন এমন যুবকদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে চার ঘণ্টা মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তার শুক্রাণু অর্ধেক হয়ে যায়।
তিনি আরও জানিয়েছেন, শুক্রাণুর ওপর মোবাইল ফোনের বিকিরণ প্রয়োগ করলে শুক্রাণু দুর্বল, চিকন এবং সাঁতারে অক্ষম হয়ে পড়ে। আর মোবাইল ফোন হলো এক ধরনের স্বল্প কম্পাঙ্কের তরঙ্গ প্রেরক যন্ত্র। এ তরঙ্গের অন্য নাম মাইক্রোওয়েভ।
জানা গেছে, ডেভিস তার ‘ডিসকানেক্ট : দ্য ট্রুথ অ্যাবাউট সেল ফোন রেডিয়েশন, হোয়াট দ্য ইন্ডাস্ট্রি হ্যাজ ডান টু হাইড ইট অ্যান্ড হাউ টু প্রটেক্ট ইওর ফ্যামিলি’ নামের বইটিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ডেভিস মোবাইল ফোন ব্যবহার বিষয়ে সতর্ক করে জানিয়েছেন, মোবাইল ফোনের এ বিকিরণ অনেক দীর্ঘমেয়াদি সমস্যার সৃষ্টি করবে। একটানা মোবাইল ফোন ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অন্যদিকে ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক দল জানিয়েছে, মোবাইল ফোনের ব্যবহার মারাত্মক টিউমারের সৃষ্টি করে।