Pages

Wednesday, December 4, 2013

স্পেশাল: সহজে ও সস্তায় ফোন করতে ভিওআইপি

স্পেশাল: সহজে ও সস্তায় ফোন করতে ভিওআইপি
-ইমরান রেজা অনন্ত

বর্তমানে তুমুল আলোচিত−ভিওআইপি বা ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল প্রযুক্তি। ইন্টারনেটের মাধ্যমে কম খরচে কথা বলার জন্য এ প্রযুক্তি বহুল ব্যবহূত এবং জনপ্রিয়। বাংলাদেশে এ প্রযুক্তি বৈধ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ভিওআইপি এমন এক প্রযুত্তি, যা দিয়ে খুব সহজেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলা যায়। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে এটি খুবই সহজ ও সাশ্রয়ী এক মাধ্যম।

ভিওআইপি কী?
প্রথমেই চ্যাট, ভয়েস চ্যাট এবং ইন্টারনেট টেলিফোনির বিষয়গুলো বোঝা যাক। ইন্টারনেট যাঁরা ঘাঁটাঘাঁটি করেন তাঁদের কাছে অবশ্যই এ শব্দগুলো পরিচিত। চ্যাট হলো তাৎক্ষণিক লিখিত বার্তার আদান-প্রদান। ভয়েস চ্যাটে তাৎক্ষণিক লেখা পাঠানোর বদলে ফোনে কথা বলার মতো একে অপরের সঙ্গে ইন্টারনেটের মাধ্যমে কথা বলা যায়। বক্তা কিছু বলার সঙ্গে সঙ্গে তা মাইক্রোফোন দিয়ে কম্পিউটারে যায় এবং ইন্টারনেটে তথ্য চলাচলের পথ দিয়েই কথা তথ্যের আকারে (প্যাকেট) আকারে অপরপ্রান্তে পৌঁছে যায়।ফলে শুধু ইন্টারনেট দিয়ে একে অপরের সঙ্গে বিনামূল্যে তাৎক্ষণিক কথা বলতে পারা যায়। এটাই ভিওআইপি।ইন্টারনেট যদি শব্দতরঙ্গ কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বিনামূল্যে পাঠাতে পারে, তবে কেন তা সাধারণ টেলিফোনে প্রেরণ করা যাবে না? এর সমাধান হিসেবে কম্পিউটার থেকে টেলিফোনে বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে টেলিফোন থেকে টেলিফোনে কথোপকথনের প্রযুক্তি বের হয়। এর আধুনিক রূপ আইপি বা ইন্টারনেট টেলিফোনি প্রযুক্তি, যার পুরোটাই ভিওআইপি প্রযুক্তি দিয়ে নিয়ন্ত্রিত ও পরিচালিত।

কার্যকারিতা
কথোপকথনের জন্য কম্পিউটার, মোটামুটি উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগ, মাইক্রোফোন ও স্পিকার লাগবে।দুই প্রান্তেই একই সফটওয়্যার ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে বহুল প্রচলিত বিনামূল্যের সফটওয়্যার হলো: ইয়াহু! মেসেঞ্জার, এমএসএন মেসেঞ্জার, স্কাইপি ইত্যাদি।এসবের যেকোনোটি ব্যবহার করে বিনামূল্যে অ্যাকাউন্ট খোলা যায়। এরপর এগুলোতে ঢুকে কথা বলা বা লিখিত বার্তা আদান-প্রদান করা যাবে বিনামূল্যে। এ ছাড়া নির্দিষ্ট ফি দিয়ে ইন্টারনেট থেকে সাধারণ ল্যান্ডফোন কিংবা মোবাইল ফোনেও কথা বলা যাবে।

খরচ ও সাশ্রয়
ভিওআইপির জন্য ইন্টারনেটের উচ্চগতি দরকার।সাধারণ ইন্টারনেট পদ্ধতি (ডায়ালআপ, ব্রডব্যান্ড, কেব্ল ইত্যাদি) ব্যবহার করেই এ প্রযুক্তি ব্যবহার করা যায়। যদি ডায়ালআপ ইন্টারনেট (টেলিফোননির্ভর) ব্যবহার করা হয়, তবে প্রতি মিনিট অন্তর নির্দিষ্ট হারে বিল দিতে হবে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে। যদি ব্রডব্যান্ড সংযোগ থাকে, তবে ২৪ ঘণ্টাই ইন্টারনেটের আওতায় থেকে ভিওআইপি ব্যবহার করা যেতে পারে যেকোনো সময়। মাস শেষে নির্দিষ্ট পরিমাণ বিল দিলেই হলো, যা গড়ে ৬০০ থেকে এক হাজার টাকা। তবে যে সংযোগই নেওয়া হোক না কেন, তার গতি যেন গড়ে প্রতি সেকেন্ডে চার থেকে পাঁচ কিলোবাইট হয়। ভিওআইপি ব্যবহারে শুধু ইন্টারনেট খরচটিই হয়; ল্যান্ড-ফোনে কল করা ছাড়া বাড়তি খরচ এখানে হয় না।

ভিওআইপি দিয়ে টেলিফোন করা
ইয়াহু! ইন্টারনেট ব্যবহার করে কম্পিউটার থেকে টেলিফোন করার সহজ সুযোগ করে দিয়েছে ব্যবহারকারীদের। কিন্তু কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে ভিওআইপি যেমন বিনামূল্য, টেলিফোনে ফোন করা তা নয়। ন্যুনতম ১০ ডলার বা তার বেশি দামের সময় (ক্রেডিট) কিনলে পৃথিবীর প্রায় সব দেশে ফোন করা যায় কম্পিউটার ও ইন্টারনেট দিয়েই। বেশ কিছু ভিওআইপি সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মাসিক চুক্তির ভিত্তিতে (মাত্র ৪০-৫০ ডলারের বিনিময়ে) মাসব্যাপী যেকোনো দেশে যতক্ষণ ইচ্ছা ফোন করার সুযোগ দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেন ইন্টারনেটে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে করা সহজ ও নিরাপদ।

মোবাইল ফোন দিয়ে ভিওআইপির ব্যবহার
কম্পিউটার থেকে কম্পিউটারে বিনামূল্যে কথা বলা যায়; তবে আজকাল যে মোবাইল ফোনেও ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে, তা দিয়ে কি একই সুবিধা পাওয়া যাবে? আনন্দের বিষয় এই যে এরও সমাধান হয়ে গেছে। বর্তমানে আমাদের দেশ থেকেই সম্পুর্ণ বিনামূল্যে (ইন্টারনেট খরচ ছাড়া) মোবাইল দিয়ে ভয়েস চ্যাট করা যায়। তবে এর জন্য ভিওআইপি সমর্থন করে এমন মোবাইল ফোন এবং উচ্চগতির মোবাইল ইন্টারনেট সংযোগ দরকার। বর্তমানে নকিয়াসহ অনেক নির্মাতা ভিওআইপিসহ মোবাইল ফোন বাজারে বিক্রি করছে। কিন্তু তুলনামূলকভাবে সেসব মোবাইলের দাম একটু বেশিই পড়ছে। তবে প্রাপ্ত সুযোগ-সুবিধার তুলনায় সে দাম তেমন বেশি নয়। নকিয়ার নির্মিত ই-সিরিজ, এন-সিরিজসহ বেশ কিছু ডাটা কমিউনিকেটর মোবাইল দিয়ে ভিওআইপি ব্যবহার করা যাচ্ছে। এ ছাড়া সনি-এরিকসন, মটোরোলার বেশ কিছু প্রচলিত মোবাইল ফোনও এ সুবিধা দিতে পারে।আজকাল দেশের মোবাইল ফোন সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (যেমন−গ্রামীণফোন, সিটিসেল, ওয়ারিদ ইত্যাদি) তুলনামূলক দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে।মোবাইল ফোন দিয়েই মাসিক ৮০০ থেকে এক হাজার টাকার বিনিময়ে সার্বক্ষণিক ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাচ্ছে।

বিনামূল্যে ভিওআইপি সফটওয়্যার
ধরা যাক, দেশ বা বিদেশ থেকে কোনো ব্যক্তি তাঁর আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলেন। এ ক্ষেত্রে প্রতি মাসে বিপুল অঙ্কের ফোন বিল না দিয়ে ভিওআইপির আশ্রয় নিলে খরচ অনেক সাশ্রয় হতে পারে। তবে দুইজনের কাছেই ভিওআইপি প্রযুক্তি আছেএমন মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। http://www.fring.com অথবা http://www.gizmoproject.com ঠিকানার ওয়েবসাইটে বিনামূল্যে ভিওআইপির সফটওয়্যার পাওয়া যায়। এটি মোবাইলফোনসেটে নামিয়ে (ডাউনলোড) নিতে হবে। এসব সফটওয়্যার দিয়ে ইয়াহু!, এমএসএন বা স্কাইপির মতো সফটওয়্যারের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে স্বাভাবিক চ্যাট করা যায়। পাশাপাশি ভয়েস চ্যাটের সুবিধাও এতে দেওয়া হয়েছে। সফটওয়্যার চালু করে এতে যেকোনো নাম ব্যবহার করে প্রথমে একটি অ্যাকাউন্ট খুলে নিতে হয়, সে নাম দিয়েই সব সময় প্রবেশ করতে হয় এবং অন্যপক্ষ সে নাম দিয়েই তাকে চিহ্নিত করে থাকে। পরে অন্যান্য চ্যাটরুম যুক্ত করে সেখানকার বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও চ্যাট, ভয়েস চ্যাটিং, ছবি ও গান আদান-প্রদান করা যায়। প্রোগ্রাম বন্ধ না করলে বা ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন না করলে সার্বক্ষণিক এ সফটওয়্যার সক্রিয় থাকে। ফলে যেকোনো সময় কল আদান-প্রদান করা যায়। অসীম সময়ের ইন্টারনেট সংযোগ যদি না থাকে, তবে প্রতি কিলোবাইট হিসেবে অর্থ প্রদান ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে। যদি মোবাইল ফোনে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি থাকে , তবে তা দিয়েও ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতে পারে।

বাংলাদেশে ভিওআইপি প্রযুক্তির সম্ভাবনা
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে ভিওআইপির সুবিধা নেওয়া সম্ভব।তবে এ জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু নীতিমালা এবং সঠিক উদ্যোগের। ইতিমধ্যে এটি কার্যকর রয়েছে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোতে। ফলে সেসব দেশে অতি সামান্য খরচে বিদেশে ফোন করে কথা বলা যাচ্ছে বহুক্ষণ। ভিওআইপি প্রি-পেইড কার্ড কিনতে পাওয়া যায় যেকোনো দেশে। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ নিম্নবিত্ত শ্রেণীর অসংখ্য মানুষ মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে বসবাস করে। তাদের জন্য ভিওআইপি একটি ভালো সমাধান। আবার গ্রামের সুবিধাজনক স্থানে ভিওআইপি সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ফোনসেন্টার গড়ে তোলা যেতে পারে। এমনকি টেলিসেন্টারেও এর ব্যবহার চলতে পারে। 

Tuesday, December 3, 2013

Easy way to exchange and recharge in Bangladesh

Easy way to exchange and recharge in Bangladesh:
Please browse this website: http://www.exchangenrecharge.com/

Monday, December 2, 2013

মোবাইল রেডিয়েশন

মোবাইল রেডিয়েশন
-রোহিত সাধু খাঁ
কিছুকাল আগে, হয়ত একযুগ আগের কথা_ এদেশের মানুষ মোবাইল টেলিফোন ব্যবহারের কথা ভাবতই না। তখন যে সকল স্টুডিওতে ছবি তোলা হতো সেখানে স্টুডিওর মালিকরা একটা সংযোগবিহীন টেলিফোন রাখতেন। তখনকার দিনে ফোন কানে নিয়ে ছবি তোলা একটা প্রেস্টিজিয়াস ব্যাপার ছিল। বিদেশে আত্নীয়পরিজনের সঙ্গে কথা বলা লাগবে বাড়ি থেকে পরিচ্ছন্ন কাপড় পরে ফোনের দোকানে যেতে যেন তাকে দেখা যাবে। এই যন্ত্রটার ওপর কৌতূহলের কোন শেষ ছিল না। এর পর এলো মোবাইল ফোন প্রথম তা ব্যবহার করত ব্যবসায়ী, উকিল, মোক্তার, বড় কর্মকতর্া, মন্ত্রী, এম পি। মোবাইল যারা ব্যবহার করত তারা সাধারণত চলত চার চাকায়। দিনে দিনে এখন একমাত্র পদব্রজ (পা) যাদের ভরসা তারাও এই বস্তু ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পড়েছে। জীবনে গতি বেড়েছে একথা অস্বীকার করা যাবে না; তবে ক্ষতিও যে বেড়েছে, পাঠক একটু চিনত্মা করলে আপনারাও হয়ত একমত হবেন। আসলে আপনাদের চিনত্মনে এখন কোন ক্ষতির কথা ঘুরছে তা হয়ত বোঝা যাবে না। কিন্তু অনেক বড় ক্ষতি করছে এই মোবাইল ফোন থেকে বেড় হওয়া তেজস্ত্রিয়তা তথা রেডিয়েশন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক গবেষক প্রতিনিয়ত এর অপকারিতা কমানোর জন্য অক্লানত্ম পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। যার ফলসরূপ বেরিয়ে আসতে শুরম্নুকরেছে নানা ভয়ঙ্কর তথ্য। বিশ্বসাস্থ্য সংস্থা (ডঐঙ)-এর মতে মতে, বিশ্বব্যাপী গত দশ বছরে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৩০ শতাংশ। শুধু রেডিয়েশনের কারণে শরীরের টিউমার বৃদ্ধি ত্বরান্বিত হচ্ছে। এছাড়াও মাথাব্যথা, অবসাদ, বিরক্তি, সকালে ঘুম থেকে উঠে কিছুক্ষণের জন্য বিছানায় বসে থাকাসহ নানাবিধ সমস্যা এই মোবাইল রেডিয়েশনের কারণে দিন দিন বাড়ছে । এভাবে বাড়তে থাকলে হয়ত এক দিন দেখা যাবে পৃথিবীতে আশঙ্কাজনক হারে ক্যান্সার রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এছাড়াও প্যান্টের পকেট বা বেল্টের কাছাকাছি মোবাইল ফোন রাখার কারণে ২৫ ভাগ শুক্রাণু বা স্পার্মের উৎপাদন কম হচ্ছে। শার্টের পকেটে রাখার কারণে হার্টের নানা রকমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ কথা চালিয়ে যাওয়ার সময় কানের কাছে মোবাইল ফোন রাখার কারণে কানের পাশে রক্তচাপ বৃদ্ধি পায় এবং মাথা ব্যথা শুরম্নু হয়। কারও যদি আগে থেকেই কানের পাশে বা মাথার কোন অংশে টিউমার থেকে থাকে তা মোবাইল রেডিয়েশনের প্রভাবে আরও ত্বরান্বিত হয়। পাঠক, ওসব ভয়ঙ্কর কথায় আপনাদের আতঙ্কিত করা এই লেখার উদ্দেশ্য নয়। এই সকল হতাশার পড়ে আশার কিছু কথা বলাই মূল উদ্দেশ্য। উপরে বসে যিনি কলকাঠি নারাচ্ছেন তিনি অাঁধারের পরে আলোর নিয়ম করে রেখেছেন। কিছু ব্যাপার মানলে এই রেডিয়েশনের প্রভাব থেকে একেবারে মুক্তি না মিললেও কিছুটা হলেও কমানো যায়। নিচের বিষয়গুলো খেয়াল রেখে মোবাইল ব্যবহার করলে রেডিয়েশন অনেক কম প্রভাবিত করতে পারবে আমাদের শরীরকে।
০ কথা বলার সময়ের দৈর্ঘ্য কমাতে হবে। অথবা বেশি সময় কথা বলার ক্ষেত্রে কান পরিবর্তন করে কথা বলতে হবে ।
০ একটানা অবশ্যই ৫ মিনিটের বেশি কথা বলা উচিৎত হবে না।
০ কথা বলার সময় মোবাইল ফোনটির অবস্থান আপনার কান থেকে কৌণিক, রৈখিক ও উচ্চতার দিক থিকে বার বার পরিবর্তন করম্নন।
০ স্পিকার ফোন ব্যবহার করা যেতে পারে। যেখানে স্পিকার ফোন ব্যবহার করে কথা বলা সমস্যা সেখানে তারযুক্ত হেডফোন ব্যবহার করা যাবে, আবশ্যই বস্নুটুথ ডিভাইস নয়।
০ কাথা বলার সময় ফোনটি আপনার শরীর থেকে অন্তত ৬ সেন্টিমিটার দূরে রাখুন। স্মার্টফোন বা আইফোনের ক্ষেত্রে আরও বেশি।
০ প্যান্ট বা শার্টের পকেটে ফোন না রেখে হাতে রাখা অপেক্ষাকৃত নিরাপদ।
০ কম ফ্রিকোয়েন্সি তথা যেখানে নেটওয়ার্ক পেতে সমস্যা মনে হয় সেখানে ফোনে কথা না বলা।
০ ফোনে যখন কল গ্রহণ করছেন বা কারও কাছে কল করছেন কানেক্ট হওয়ার আগ পর্যনত্ম শরীর থেকে দূরে রাখা।
০ রেডিয়েশন নিরোধক চিপ ব্যবহার করা। অথবা রেডিয়েশন নিরোধক ডিভাইস ব্যবহার করা। যদিও সেই অর্থে কোন রেডিয়েশন নিরোধক ডিভাইস বাজারে আসেনি। ছ-ষরহশ একটি ডিভাইস পাওয়া যায় যা লকেট, পেন্ডেন্ট অথবা ব্রেসলেট হিসেবে পাওয়া যায়। আমাদের দেশীয় টাকায় যার নূনতম দাম ১৫০০০ টাকা।
০ শোবার সময় মোবাইল ফোনটি অবশ্যই মাথার কাছ থেকে দূরে রাখা।
মোবাইল রেডিয়েশন তথা আরএফ ফ্রিকোয়েন্সি শুধু মনুষেরই ক্ষতি করে না গাছের ফল না ধরা বা ফল ধরা কমে যাওয়ার পেছনে এর বড় প্রভাব রয়েছে। এই রেডিয়েশন গাছের মিউটেশনের জন্য দায়ী। এমনও হয় রেডিয়েশনের প্রভাবে গাছের চারিত্রিক গঠন পরিবর্তিত হয়ে যায়্।
এ থেকে গাছ বাঁচানোর জন্য নেটওয়ার্ক জাম্পার ব্যবহার করে নির্দিষ্ট এলাকা সিগনাল মুক্ত রাখা যেতে পারে। এতে গাছের ফলের পরিমাণ বাড়বে, পরাগরেণু ঝরে পরবে না।
Source: http://www.dailyjanakantha.com

এন্টি-রেডিয়েশন কিট বা ষ্টিকারের জন্য ফোন করুন এই নাম্বারে: 01822666703, মূল্য: ৳330

Source: http://bikroy.com

 

মোবাইল ফোনের এন্টি রেডিয়েশন কেস Pong releases anti radiation mobile case

 

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে ক্যান্সার হয় কিনা সেটা নিশ্চিত করা হয়নি। কিছু ক্ষতি হয় এটা যদিও নিশ্চিত। সেই ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে এন্টি রেডিয়েশন কেস বাজারে ছেড়েছে পং নামে এক কোম্পানী। এটা মোবাইল ফোনের রেডিয়েশনের ৬০ ভাগ প্রতিরোধ করতে সক্ষম বলে বলা হয়েছে।
সিইএস এ দেখানো এই কেসের দাম ৪৯.৯৫ ডলার। ব্লাকবেরি সেটের কয়েকটি মডেলের জন্য পাওয়া যাচ্ছে। যারা ল্যাবরেটরীতে এটা পরীক্ষা করেছেন তারা বলছেন এটা কাজ করে।
সেল ফোনগুলি নেটওয়ার্ক থেকে সিগন্যাল গ্রহন করে এবং সেট থেকে সিগন্যাল পাঠায়। এই সিগন্যালগুলি সবদিকেই যায় ফলে সেট থেকে সরাসরি কোনদিকে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা যায় না। ব্যবহারকারীর মাথায় প্রবেশ করে। এই ব্যবস্থায় দ্বিতীয় আরেকটি এন্টেনা ব্যবহার করা হয়েছে যা সিগন্যালকে মস্তিস্কের বিপরীত দিকে সরিয়ে দেয়।
পং এর আগে আইফোন এর জন্য কেস বাজারে ছেড়েছে। ড্রয়েড এবং নেক্সাস ওয়ানের কেসিংও অল্পদিনেই পাওয়া যাবে।
বর্তমান বিশ্বে প্রায় ৪০০ কোটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। কাজেই এটা আকর্ষনীয় ব্যবসা হতে পারে সন্দেহ নেই।


মোবাইলে চার্জ যখন সর্বনিন্ম পর্যায়ে থাকে তখন এর থেকে দূরে থাকা মানে ব্যাবহার না করাই ভালো কারন তখন এর রেডিয়েশন ১০০ গুন বেড়ে যায় আর তা পারমাণবিক বিস্ফোরণের পরবর্তী রেডিয়েশনের সমান।
Source: http://www.beshto.com


Cell Phone Radiation Protection-10 Tips:

Sunday, December 1, 2013

ইসলামী ব্যাংক এর “এম ক্যাশ”মোবাইল ব্যাংকিং

ইসলামী ব্যাংক এর “mCash”(এম ক্যাশ) মোবাইল ব্যাংকিং


ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ mCash (এম ক্যাশ) মোবাইল ব্যাংকিং চালু  করেছে গত ২৭শে ডিসেম্বর, ২০১২সালে। DBBL Mobile Banking ও Bikash হতে অনেক সাশ্রয়ী।

এম ক্যাশ-এর সুবিধা সমুহ
দিনে ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহে ৭ দিন ও ৩৬৫ দিন ব্যাংকিং সুবিধা শাখাবিহীন ব্যাংকিং সুবিধা দেশের যেকোন স্থান হতে ব্যাংকিং সেবা গ্রহন সম্ভব। বিদেশ হতে অল্প সময়ে সরাসরি মোবাইল একাউন্টে অর্থ প্রেরণ ব্যাংকিং সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য ব্যাংকিং সুবিধা গ্রহনের ব্যবস্থা সর্বাধিক ও অধিকতর নিরাপদ ব্যাংকিং ব্যবস্থা প্রায় সকল কার্যক্রমে ব্যাংক লেনদেনের সুযোগ সৃস্টি করা
এম ক্যাশ-এর সেবা সমুহ
স্বল্প সময়ে গ্রাহকের একাউন্ট খোলা
বিদেশ হতে অর্থ প্রেরণ ও গ্রহণ
নগদ টাকা জমা
নগদ টাকা উত্তোলন
এক একাউন্ট হতে অন্য একাউন্টে অর্থ স্থানান্তর
একাউন্টের ব্যালান্স জানা
বেতন/ভাতা প্রেরণ ও গ্রহণ
মোবাইল টপ-আপ (রিচার্জ)
পণ্য ক্রয়-বিক্রয়
যেকোন মোবাইল ফোন ও সিম ব্যবহার করে এই সুবিধা গ্রহণ
শুধুমাত্র ২০ টাকা জমা দিয়েই একাউন্ট খোলা যায়
ব্যাংকের অন্যান্য একাউন্টের সাথে লেনদেনের (জমা, উত্তোলণ, হস্তান্তর) ব্যবস্থা
এম ক্যাশ-এর একাউন্ট খোলা ও লেনদেন
ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিঃ মনোনীত যেকোন এজেন্ট, ব্যাংকের যেকোন শাখা এবং এম ক্যাশ চুক্তিবদ্ধ মোবাইল ফোন কোম্পানী কর্তৃক মনোনীত যেকোন এজেন্ট এর কাছে একাউন্ট খোলা ও লেনদেন করা যাবে। এজেন্টের কাছে খোলার ফরম পাওয়া যাবে।
এই একাউন্ট খোলার ফরম পূরণ করে ২০ টাকা জমা দিয়ে একাউন্ট খোলা যাবে।
এম ক্যাশ-এ একাউন্ট খোলার জন্য যা লাগবে
১ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি
জাতীয় পরিচয় পত্র/ নাগরিক সনদ পত্র/ ড্রাইভিং লাইসেন্স/ পাসপোর্ট এর ফটোকপি
এজেন্ট/ কর্মকর্তা গ্রাহকের তথ্যাবলীর মাধ্যমে গ্রাহকের মোবাইল একাউন্ট খুলবেন এবং গ্রাহকের মোবাইলে সাথে সাথে একটি SMS যাবে।
গ্রাহকের মোবাইল নাম্বারটির সাথে একটি Cheek ডিজিট যুক্ত হয়ে মোট ১২ সংখ্যার একটি মোবাইল একাউন্ট হবে।
এরপর গ্রাহকের মোবাইল ফোনে একটি ফোন আসবে এবং গ্রাহককে গোপন ৪ ডিজিটের PIN দিতে বলবে। গ্রাহক তার নিজসব চার ডিজিটের PIN দিবেন এবং এই PIN ই পরবর্তীতে তার লেনদেনের জন্য গোপন PIN হিসেবে কাজ করবে। এই অবস্থায় গ্রাহক তার মোবাইল একাউন্টে টাকা জমা দিতে পারবে।
এম ক্যাশ-এ মোবাইল একাউন্টে লেনদেনের সীমা
দৈনিক জমা : সর্ব্বোচ্চ ৫ বার
দৈনিক উত্তোলন : সর্ব্বোচ্চ ৫ বার
দৈনিক অর্থ স্থানান্তর : সর্ব্বোচ্চ ১০ বার
দৈনিক জমার পরিমাণ : ৫০-২৫,০০০ টাকা
দৈনিক উত্তোলণের পরিমাণ : ৫০-২৫,০০০ টাকা
দৈনিক স্থানান্তরের পরিমাণ : ১০-৫,০০০ টাকা
মাসিক মোট জমা : সর্ব্বোচ্চ ৩০ বার
মাসিক মোট উত্তোলন : সর্ব্বোচ্চ ১৫ বার
মাসিক মোট অর্থ স্থানান্তর : সর্ব্বোচ্চ ১০০ বার
মাসিক জমার পরিমাণ : ৩,০০,০০০ টাকা
মাসিক উত্তোলণের পরিমাণ : ১,৫০,০০০ টাকা
মাসিক স্থানান্তরের পরিমাণ : ১,০০,০০০ টাকা
মোবাইল একাউন্টে লেনদেনের সার্ভিস চার্জ
একাউন্ট খোলাঃ ফ্রি
বৈদেশিক অর্থ জমাঃ ফ্রি
বেতন ভাতা গ্রহনঃ ফ্রি
মোবাইল টপ-আপ (রিচার্জ)- ফ্রি
একাউন্ট ব্যালান্স চেকঃ ফ্রি
অর্থ জমাঃ ফ্রি
অর্থ উত্তোলনঃ ১০-১০০০ টাকা পর্যন্ত ১০ টাকা ১০০১-২৫,০০০ টাকা পর্যন্ত ১% হারে
মার্চেন্ট পেমেন্টঃ ফ্রি
 

আরো বিস্তারিত জানতে নিকটস্থ ইসলামী ব্যাংক এর যেকোন শাখা অথবা এজেন্টের নিকট যোগাযোগ করুন।

 

Thursday, November 28, 2013

মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা



মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা


মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নাগরিকগণ এখন সরকারী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত চিকিৎসকের কাছ থেকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারছেন। সেজন্য বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলা হাসপাতালে (মোট ৪৮২টি হাসপাতাল)
একটি করে মোবাইল ফোন দেয়া হয়েছে। আপনিও এই সেবা গ্রহণ করতে পারেন। এসব মোবাইল ফোনের নম্বর স্থানীয় পর্যায়ে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখানে ক্লিক করলে আপনি নম্বরগুলোর তালিকা পাবেন। ২৪ ঘন্টা ব্যাপী কোন না কোন চিকিৎসক এই মোবাইল ফোনের কল রিসিভ করেন। স্থানীয় জনগণ এসব মোবাইল ফোনে ফোন করে হাসপাতালে না এসেই বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ নিতে পারেন।
এই সেবা চালুর ফলে গ্রাম বা প্রত্যন্ত এলাকায় বসবাসরত ধনী-গরীব সকলের জন্যই বিনামূল্যে সরকারী চিকিৎসকদের নিকট থেকে চিকিৎসা পরামর্শ গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। নিঝুম রাতে, জরুরী প্রয়োজনে বা পথের দুরত্বের কারণে চিকিৎসা পরামর্শ পেতে আর দেরী করার প্রয়োজন নেই। হাতুড়ে চিকিৎসকের দ্বারস্থ হয়ে ভুল বা অপচিকিৎসার ঝুঁকি নেবারও প্রয়োজন নেই। যে চিকিৎসা বাড়িতে বসেই সম্ভব তার জন্য হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। যে চিকিৎসা গ্রামের কমিউনিটি ক্লিনিকেই সম্ভব তার জন্য উপজেলা বা জেলা হাসপাতালে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। আবার যে রোগটি জটিল এবং আশু চিকিৎসা প্রয়োজন তার জন্য অযথা এখানে সেখানে ঘোরাঘুরিতে সময় নষ্ট না করে বড় হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শটিও পাওয়া সম্ভব একটি মাত্র ফোন কল করেই। ব্যস্ত মানুষেরাও রোগের শুরুতেই পরামর্শ নিতে পারেন চিকিৎসকের। এর ফলে রোগ জটিল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায়।
দেশের সরকারী হাসপাতালগুলোর বহির্বিভাগে বহু রোগী আসে। সীমিত জনবল এবং ঔষধপত্র দিয়ে সব সময় মানসম্পন্ন সেবা প্রদানের কাজটি তাই কঠিনই বটে। মোবাইল ফোন স্বাস্থ্য সেবার ব্যাপক প্রচার হলে অনেক রোগী ঘরে বসেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ফলে হাসপাতালগুলোর উপর চাপ কমবে। তখন সীমিত জনবল ও সম্পদ দিয়েই আগত রোগীদের ভালো চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। রোগীদের সন্তুষ্টিও বৃদ্ধি পাবে। মোবাইল ফোনে স্বাস্থ্য সেবা কমিউনিটি ক্লিনিকেও সম্প্রসারণ করা হবে।

 

মোবাইল ট্র্যাকিং: হয়রানি ও পরিত্রানের উপায়

মোবাইল ট্র্যাকিং: হয়রানি ও পরিত্রানের উপায়




বর্তমানে বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের গ্রেফতার, গুম ও গতিবিধি লক্ষ্য রাখার জন্য পুলিশ-র‌্যাব ও যৌথবাহিনী মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে আসছে আবার এতে হয়রানীর শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষও। তাই এ বিষয়ে সবার ধারণা থাকা প্রয়োজন। বাংলাদেশের সব মোবাইল অপারেটর বিটিআরসি এর আইন আনুসারে গোয়েন্দা সংস্থার কাছে সব সিমের তথ্য প্রকাশ করেতে আইনগতভাবে বাধ্য। তাই আইন শৃংখলা বাহিনী যেকোন সময় অপারেটরের সার্ভারে অনুপ্রবেশ করে যে কোন সিমের তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারে। যখন কোন অপরাধী কে ধরতে মোবাইল ট্র্যাকিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয় তখন সর্বপ্রথম সন্দেহভাজন সিম নাম্বারটি নিয়ে দেখা হয় সিমটি খোলা আছে কিনা আর থাকলে এখন কোন জায়গায় আছে? এক্ষেত্রে সিমটি যে জায়গায় খোলা থাকে সেখানে টাওয়ার এর মাধ্যমে অপরাধীর অবস্থান নির্নয় করা যায়। এক্ষেত্রে একটি বিশেষ পোর্টেবল (ভ্রাম্যমাণ) ডিভাইস এর সাহায্যে টাওয়ার থেকে সিম কত দুরত্বে আছে তা দেখতে পারে গোয়েন্দা সংস্থা। ডিভাইসটি একেবারে আপনার দেহ পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যেতে পারে। যদি সিম বন্ধ থাকে তাহলে সিমের অতীত ইতিহাস জানার জন্য অপারেটরের সার্ভারে প্রবেশ করে গোয়েন্দা সংস্থা। একটি সিম চালু করার পর যে বিষয়গুলো স্বয়ংক্রিয় ভাবে অপারেটরের সার্ভারে রেকর্ড হয়ঃ 1.ঐ সিমের মালিকের নাম–ঠিকানা ও ছবি (যদি রিজিষ্টার্ড সিম হয়)। 2.কল লিস্ট(রিসিভ ও ডায়াল্ড), SMS (ইনবক্স-আউটবক্স) । 3.সিমটি নিয়ে ব্যবহারকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করেছিল এবং কত সময় পর্যন্ত প্রতিটি জায়গায় ছিল। 4.সিমটির জন্য যে মোবাইল সেট ব্যবহৃত হয়েছে বা হচ্ছে সেটির IMEIনাম্বার। প্রতিটি মোবাইল সেটেরই ২টি বা ৩ টি IMEI নাম্বার থাকে যা সেটের ব্যাটারী খুলার পর দেখতে পাবেন। 5.রিচার্জ ও ব্যালেন্স এর হিস্টোরী। এক্ষেত্রে সাধারণত অপরাধীরা ভুয়া সিম ব্যবহার করায় সিমের মালিকের নাম–ঠিকানা ও ছবি পাওয়া যায় না। তবে মজার ব্যপার হলো এই বিষয়গুলোর ব্যপারে অপরাধীরা ক্লু রেখে যায়ঃ ১.কল লিস্ট(রিসিভ ও ডায়াল্ড), SMS (ইনবক্স-আউটবক্স), ২.সিমটি নিয়ে ব্যবহারকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করেছিল এবং কত সময় পর্যন্ত এক এক জায়গায় ছিল। ৩. সিমটির জন্য যে মোবাইল সেট ব্যবহৃত হচ্ছে সেটির IMEIনাম্বার। ❑ তখন গোয়েন্দা সংস্থা এই তিনটি নিয়ে গবেষনা করে। প্রথমত কল লিস্ট থেকে ঐ সিমে ইঙ্কামিং ও আঊটগোয়িং কল ও এসএমএস এর নাম্বারগুলো সংগ্রহ করে সেগুলো থেকে সন্দেহভাজন নাম্বারগুলোও ট্র্যাকিং এর আওতায় নিয়ে আসা হয়। ১ম পর্যায়ে কোন কিছু পাওয়া না গেলে ২য় পর্যায়ে ‘সিমটি নিয়ে ব্যবহারকারী কোন কোন জায়গায় ভ্রমণ করেছিল এবং কত সময় পর্যন্ত এক এক জায়গায় ছিল’ তা দেখে ঐ জায়গাগুলোতে স্পাইদের পাঠানো হয় ঐখানে কারা ছিল তা খুজে বের করার জন্য। ২য় পর্যায়ে কোন ক্লু পাওয়া না গেলে ৩য় পর্যায়ে সিমটির জন্য যে মোবাইল সেট ব্যবহৃত হচ্ছে সেটির IMEIনাম্বার টিতে অন্য কোন সিম লাগানো আছে কিনা এটা সার্চ করে হয়।যদি একি মোবাইল সেটে অন্য সিম লাগানো হয় তাহলে IMEIনাম্বার এর মাধ্যমে অপরাধীর অবস্থান যেনে ফেলা যায়। অনেক সময় সিম ব্যবহারকারী মোবাইল অফ করে রাখলেও মোবাইল সেটের ব্যাটারী খুলে না ফেললে মোবাইলের BIOS অন থাকায় টাওয়ার এ সিগনাল চলে যায়।এর ফলে সিম ও সেট এর IMEI এর তথ্য টাওয়ার এ চলে যায়। ফলে সন্দেহভাজন ব্যাক্তির অবস্থান প্রকাশ হয়ে যায়। 
        হয়রানি থেকে পরিত্রানের জন্য করনীয়ঃ ১.রেজিস্টার্ড সিম ব্যবহার না করা। ২. পরিচিত সিম ও ঐ সিমের ব্যবহৃত সেট ব্যবহার না করা। একই সেট ব্যবহার করলে অন্য সিম লাগালেও আপনার সেটের IMEIকিন্তু পেয়ে যাবে। ৩.মোবাইল সেট বন্ধ রাখলেও ব্যাটারী না খুলে ফেললে মোবাইলের BIOS অন থাকে বলে আপনার অবস্থান নির্ণয় করা যাবে। ৪. সিম নিয়ে কোন কোন জায়গায় যাচ্ছেন, কল লিস্ট(রিসিভ-ডায়াল), এসএমএস (ইনবক্স-আঊটবক্স-ড্রাফট) এগুলো কিন্তু অপারেটরের সার্ভারে রেকর্ড করা হচ্ছে তাই সতর্ক থাকবেন। ৫. আপনার অনেক দিন আগের পরিচিত সিম নতুন মোবাইল সেটে ব্যবহারের ক্ষেত্রেও সতর্ক থাকবেন। এক্ষেত্রে নতুন সেটের IMEI চলে যাবে টাওয়ারে। ৬. সেন্সিটিভ কথা মোবাইলে বলবেন না। অনেক সময় সন্দেহভাজনকে না ধরে তার কথোপকথোন শুনে গোয়েন্দা সংস্থা।
◉সবাই বিষয়টি অনুধাবন করতে পারলে অনাকাক্ষিত গুম, খুন ও হয়রানি থেকে বাচতে পারবেন এটাই আশা করি।
শেয়ার করে সবাই কে জানিয়ে দিন ✉ ✉ ✉ ✉ ✉ ✉......

Source: Facebook

Thursday, November 14, 2013

মোবাইল ফোন নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ভিডিও প্রতিবেদন

মোবাইল ফোন নিয়ে কিছু প্রয়োজনীয় ভিডিও প্রতিবেদন


মোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল!! ভবিষ্যৎ প্রজন্ম অপব্যবহারে ঝুঁকছেমোবাইল ফোনের সুফল ও কুফল!! 


তরুণ প্রজন্মের মোবাইল ফোন ব্যবহার:


মোবাইল অ্যাপসের জগতে বাংলাদেশি তরুণদের বিচরণ: সম্ভাবনাময় নতুন পেশা

মোবাইল প্রতারণার নয়া কৌশল! 

Sunday, September 22, 2013

মোবাইল ব্যাংকিং : পর্যালোচনা ও শরঈ দৃষ্টিকোণ

মোবাইল ব্যাংকিং : পর্যালোচনা ও শরঈ দৃষ্টিকোণ

-মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ


দেশে মোবাইল ব্যাংকিং চালু হওয়ার পর থেকেই ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ এ বিষয়ে শরীয়তের হুকুম জানতে চাচ্ছেন। আজকের নিবন্ধে বিষয়টি নিয়ে আলোকপাত করার চেষ্টা করা হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআলা একমাত্র তাওফীকদাতা।
শরঈ আলোচনা শুরু করার আগে মোবাইল ব্যাংকিং-এর সংক্ষিপ্ত পরিচিতি জানা যাক।
মোবাইল ব্যাংকিং কী?
এককথায় বলতে গেলে মোবাইল ফোন অপারেটরদের নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অর্থ লেনদেনের নামই হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং। শাখা বা অফিসবিহীন এ ব্যাংকিং জনসংখ্যাবহুল বাংলাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। প্রথমে ব্র্যাক ব্যাংক ও ডাচ বাংলা ব্যাংক এ কার্যক্রম শুরু করলেও এখন অনেক ব্যাংকই এ ধারায় প্রবেশ করছে। সন্দেহ নেই, মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির সংখ্যা দিন দিন বাড়তেই থাকবে।
কি কি সেবা দিয়ে থাকে?
এখন পর্যন্ত যে সেবাসমূহ মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো দিচ্ছে তা নিম্নরূপ :
১. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা প্রেরণ।
২. মোবাইল ফোন রিচার্জ।
৩. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা টাকা এজেন্ট থেকে উত্তোলন।
৪. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা টাকা ব্যাংকের এটিএম থেকে উত্তোলন।
৫. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের টাকা ব্যাংক একাউন্টে এবং ব্যাংক একাউন্টের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে স্থানান্তর।
৬. নির্ধারিত দোকানপাট ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধ সুবিধা।
৭. দেশের বাইরে বসবাসরত আপনজন কর্তৃক প্রেরিত অর্থ (র‌্যামিটেন্স) গ্রহণ।
এছাড়া একাউন্টধারী কর্তৃক নিজ হিসাবের স্থিতি, মিনি স্টেটম্যান্ট দেখার সুবিধাও রয়েছে।
মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম কীভাবে পরিচালিত হয়?
দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে লাইসেন্স নিয়ে তফসীলী ব্যাংকগুলো এ ব্যবসা করে থাকে। এজন্য তাদেরকে মোবাইল কোম্পানিগুলোর সাথেও চুক্তিতে আবদ্ধ হতে হয়। মোবাইল অপারেটরদের দেশব্যাপী বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে নিজস্ব সফটওয়্যারের মাধ্যমে শাখাবিহীন এ মিনি ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে ব্যাংকগুলো।
অনেকগুলো পক্ষের সংশ্লিষ্টতায় এ কারবার পরিচালিত হয়ে থাকে। যেমন,
ক) মূল কোম্পানি। যথা, বিকাশ,   এমক্যাশ ইত্যাদি।
খ) মোবাইল কোম্পানিগুলো।
গ) ডিস্ট্রিবিউটর।
ঘ) এজেন্ট।
ঙ) গ্রাহক তথা একাউন্ট হোল্ডার। এছাড়াও রয়েছে,
চ) বিভিন্ন পণ্য বিক্রেতা ও সেবা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান যাদেরকে মার্চেন্ট বলা হয়।
ছ) প্রবাসী অর্থ তথা রেমিটেন্স গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট পক্ষের সাথে ভিন্ন চুক্তি।
মূলকাজ
মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোর ওয়েব সাইটে দেওয়া তথ্যাবলি ও তাদের প্রচারপত্র পড়ে দেখা হয়েছে। কথা বলা হয়েছে বিভিন্ন এজেন্টদের সাথে এবং উচ্চপদসস্থ মোবাইল ফোন কর্মকর্তা ও ব্যাংক কর্মকর্তার সাথে। সবকিছু দেখে ও শুনে যা স্পষ্ট হয়েছে তা হল, মূলত গ্রামীণ জনপদে বসবাসকারী লোকদেরকে কিছুটা ব্যাংকিং সেবা দেওয়ার মানসেই এ কার্যক্রমের সূত্রপাত ঘটেছে। এবং যত সেবাই মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে দেওয়া হোক এর মধ্যে সবগুলোর শীর্ষে রয়েছে এক স্থান থেকে অন্যস্থানে টাকা প্রেরণ ও গ্রহণ। মোবাইল ব্যাংকিং-এর পরিভাষায় যাকে বলা হয় সেন্ড মানি ও ক্যাশ আউট। অর্থাৎ ব্যাংকের টেলিগ্রাফিক ট্রান্সফার (টিটি) এবং ডাক বিভাগের মানি অর্ডারের সহজ বিকল্প হচ্ছে বর্তমান সময়ের মোবাইল ব্যাংকিং।
শরঈ বিশ্লেষণ
এবার মোবাইল ব্যাংকিং-এর বর্তমান কার্যক্রমকে একে একে ফিকহী দৃষ্টিকোণ থেকে যাচাই করা যাক।
একাউন্ট খোলা
মোবাইল ব্যাংকিং সুবিধাগুলো নেওয়ার জন্য একজন ব্যক্তির একটি একাউন্ট থাকতে হয়, যে কোনো ব্যক্তি কোম্পানির এজেন্টদের কাছে গিয়ে নির্ধারিত ফরম পূরণের মাধ্যমে এ একাউন্ট খুলতে পারে। (যদিও টাকা প্রেরণ ও গ্রহণের জন্য নিজস্ব একাউন্ট না থাকলেও চলে। সেক্ষেত্রে এজেন্টদের মাধ্যমে তা করা যায়।) আমরা বিকাশ, ডাচ-বাংলা ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিং, এমক্যাশসহ কয়েকটি কোম্পানির একাউন্ট খোলার ফরম ও নিয়মাবলি পড়ে দেখেছি। সেগুলোতে মৌলিকভাবে শরীয়া পরিপন্থী কোনো শর্ত আছে বলে মনে হয়নি। তবে ভবিষ্যতে নিয়মাবলি পরিবর্তন করার একক অধিকার কোম্পানি বহন করবে এমন শর্ত শরীয়তের আলইজারা নীতিমালার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়; বরং উভয় পক্ষের সম্মতিতে এমনটি করাই শরীয়তের নিয়ম। বিকাশ এর একাউন্ট ফরমের অপর পৃষ্ঠায় ছাপানো শর্তাবলির ১১ নং ধারায় বলা হয়েছে ‘‘গ্রাহককে কোনো পূর্ব ঘোষণা অথবা বিজ্ঞাপনজারি ব্যতিরেকে যে কোনো সময়ে যে কোনোভাবে বর্তমান নিয়মাবলি সংশোধন, উন্নয়ন, পরিবর্তন করার ক্ষমতা বিকাশ সংরক্ষণ করে।’’ ভাবতে অবাক লাগে, এ ধরনের একচ্ছত্র ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদন করে কি করে? একটি চুক্তি মানেই হল তাতে একাধিক পক্ষ জড়িত। সেখানে কোনো এক পক্ষের এত নিরঙ্কুশ অধিকার ভোগ করা কোনোক্রমেই ইনসাফপূর্ণ নয়। বিষয়টি এমনও হতে পারত যে, কোনো সময় নিয়মাবলি পরিবর্তন, সংশোধনের প্রয়োজন হলে তা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করে এবং গ্রাহকের মোবাইলে ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানানো হবে।
তবে যেহেতু একজন একাউন্ট হোল্ডার যে কোনো সময় কোনো খরচ ছাড়াই তার একাউন্ট বন্ধ করে দিতে পারে, তাই উপরোক্ত শর্তের কারণে একাউন্ট খোলা নাজায়েয হবে বলে মনে হয় না।
বিকাশ ফরমের ৭নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘গ্রাহক হিসাবে জমাকৃত তহবিল নিরাপত্তা জামানত বিবেচিত হবে। বিকাশ এর নিকট কৃত অঙ্গীকার এবং/অথবা দায়িত্ব অগ্রাহ্য অথবা যথাযথ পূরণ না করা হলে কোনো পূর্ব ঘোষণা প্রদান ব্যতিরেকে উক্ত তহবিল প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবহারের অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে।’’ এ ধারাটি দেখলে কারো হয়ত ফিকহে ইসলামীর রাহান বলে সন্দেহ হতে পারে। বাস্তবে এটি রাহান নয়। কারণ রাহান হয় কোনো জিম্মা/পাওনার নিরাপত্তার জন্য, কিন্তু এক্ষেত্রে ব্যাপারটি উল্টো। একাউন্ট হোল্ডারের টাকা বরং কোম্পানির কাছে জমা থাকে। কোম্পানি তার কাছে কিছু পাওনা থাকে না। এটি হয়ত প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফিকহে ইসলামীর আযযফার বিল হক-এর মাসআলার সাথে মিলতে পারে।
বিকাশ এর শর্তাবলির ১৩ নং ধারায় বলা হয়েছে, ‘‘বিকাশ একাউন্ট-এ জমাকৃত টাকার উপর কোনো প্রকার সুদ প্রদান করা বা না করার যাবতীয় অধিকার বিকাশ সংরক্ষণ করে।’’ বলা নিষ্প্রয়োজন যে, একজন মুসলমানের কোনোক্রমেই সুদ গ্রহণ করার সুযোগ নেই। তাই ভবিষ্যতে কখনো মোবাইল একাউন্টধারীকে সুদ দেওয়া হলে কিছুতেই তা ব্যবহার করবে না-এমন সংকল্প ফরমে দস্তখত করার সময়েই মনে মনে রাখতে হবে।
ইসলামী ব্যাংকের এমক্যাশ-এর প্রচার পত্রে এজেন্টদের জন্য একটি অতিরিক্ত শর্ত দেখা গেল। তা হচ্ছে, এজেন্টকে ২৫০০০/- টাকা ইসলামী ব্যাংকে এফডিআর করে রাখতে হবে। যার উপর তাকে মুনাফা দেওয়া হবে। এটি একেবারেই অপ্রয়োজনীয় শর্ত। যেখানে অন্যান্য কোম্পানি কোনো জামানত নিচ্ছে না, সেখানে এমক্যাশ কেন জামানত নিচ্ছে? আর ইসলামী ব্যাংকগুলো শরীয়া পরিপালনে এত নিষ্ঠাবানও হয়ে উঠেনি যে, তারা মানুষকে হালাল মুনাফা প্রদানের গ্যারান্টি দিবে। মোটকথা মোবাইল একাউন্টে যেহেতু সামান্য টাকাই জমা রাখার সুযোগ আছে তাই এর উপর সুদ বা মুনাফা দেওয়ার বিষয়টি জড়িত করার কোনোই দরকার নেই। এ বিষয়ে সামনে আরো কিছু কথা আলোচনা হবে ইনশাআল্লাহ।
ক্যাশইন
মোবাইল একাউন্ট খোলার পর গ্রাহক নিজ একাউন্টে এজেন্টের মাধ্যমে টাকা জমা করতে পারেন, কোনো কোনো মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি তাদের ব্যাংকে গ্রাহকের একাউন্ট থাকলে সেখান থেকেও মোবাইল একাউন্টে স্থানান্তরের সুবিধা দিয়ে থাকে। এ সুবিধাগুলো বিনামূল্যে বা ন্যূনতম (ফ্ল্যাট রেটে) মাশুলে (৫/১০ টাকা) হয়ে থাকে। অতএব এতে শরয়ী অসুবিধা আছে বলে মনে হয় না।
সেন্ড মানি
একজন মোবাইল একাউন্টধারী তার হিসাব থেকে অন্য একাউন্টধারীর হিসাবে নির্ধারিত পরিমাণে টাকা পাঠাতে পারে। এটিকে বলা হচ্ছে সেন্ড মানি। ২/৫ টাকার ফ্ল্যাট রেটে এই সুবিধা দেওয়া হয়। এতেও শরয়ী সমস্যা নেই।
ক্যাশ আউট
মোবাইল ব্যাংকিং-এর বহুল ব্যবহৃত সুবিধা এটি। নিজ একাউন্ট থেকে অথবা এজেন্টের কাছে প্রেরিত টাকা উত্তোলনই মোবাইল ব্যাংকিং-এর মাধ্যমে সবচাইতে বেশি হয়ে থাকে। আর দুঃখজনক সত্য হল এ সেবাটির জন্যেই মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি অনেক বেশি মাশুল নিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে তাদের চার্জ হচ্ছে ১.৮৫% তথা প্রতি ১০০ টাকায় এক টাকা পঁচাশি পয়সা। আর হাজারে ১৮.৫০ টাকা।
সংশ্লিষ্ট এজেন্ট, ডিস্ট্রিবিউটর, মোবাইল অপারেটরকে এ টাকা থেকে নির্ধারিত কমিশন প্রদানের পর অবশিষ্টাংশ কোম্পানি তথা ব্যাংক পেয়ে থাকে।
ফিকহে ইসলামীর দৃষ্টিতে এটি আলইজারাহ-এর অন্তর্ভুক্ত। এক্ষেত্রে টাকা জমা/উত্তোলনকারী হচ্ছে শ্রম/সেবা  গ্রহীতা বা মুসতাজির। আর এজেন্ট হচ্ছে শ্রম/সেবাদাতা যাকে বলা হয় আজীর (আলোচিত ক্ষেত্রে মূল আজীরের প্রতিনিধি)। এক সময়ে ডাক বিভাগের মানি অর্ডারকেও তখনকার উলামায়ে কেরাম এভাবে বিশ্লেষণ করেছিলেন। আলইজারা এর মৌলিক শর্তগুলো পাওয়া যাওয়ায় বিষয়টিকে জায়েয বলা যায় তবে এক্ষেত্রে কয়েকটি কথা বলা প্রয়োজন। যথা :
১. ক্যাশ আউটের বর্তমান চার্জ সার্বিক বিবেচনায় পরিমাণে বেশি। যেহেতু কোম্পানিকে কোনো পর্যায়েই নিজ থেকে কোনো টাকা দিতে হয় না; বরং বিভিন্ন পর্যায়ে ডিস্ট্রিবিউটর, এজেন্ট ও গ্রাহকের অনেক অনেক টাকা তাদের কাছে জমা থাকে তাই এ সার্ভিসটির চার্জ আরো কম হওয়া উচিত। জনবহুল বাংলাদেশে সেবাগ্রহণকারীর সংখ্যা অনেক বেশি হওয়ায় সামান্য চার্জ নিলেও তা একত্র হয়ে মোটা অংকের টাকায় পরিণত হবে। সরকারী নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ব্যাংকেরও এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত বলে আমরা মনে করি।
২. বর্তমান নিয়মে টাকা যত বাড়বে চার্জও একই হারে বাড়বে। এটি সংশোধন করে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ একটি সীমা নির্ধারণ করা দরকার। কারণ টাকার অংক বাড়লেও সার্ভিস তো সমানই হচ্ছে। বর্তমান নিয়মে কোনো প্রবাসী যদি আপনজনের মোবাইল একাউন্টে এক লক্ষ টাকা প্রেরণ করে তবে সে টাকা ক্যাশ আউট (উত্তোলন) করতে গিয়ে তাকে গুণতে হবে ১৮৫০/- টাকা। যা অবশ্যই জুলুম।
৩. অভিযোগ আছে যে, কোনো কোনো এজেন্ট ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে নির্ধারিত হারের চেয়েও বেশি রাখে। হাজারে ১৮.৫০ টাকার জায়গায় ২০/- টাকা রাখার কথা তো ব্যাপকভাবেই শোনা যায়। কেউ কেউ নাকি তার চেয়েও বেশি নিয়ে থাকে। এটি কোনোক্রমেই জায়েয হবে না। মনে রাখতে হবে, এজেন্টগণ হচ্ছে মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানির নিযুক্ত শ্রম/সেবাদাতা প্রতিনিধি (উকীল)। কোম্পানি কর্তৃক নির্ধারিত চার্জের বেশি নেওয়ার অধিকার তাদের নেই।
ব্যাংকের কাউন্টারে অফিসার কর্তৃক নির্ধারিত চার্জের অতিরিক্ত নেওয়া যেমন রিশওয়াত তথা উৎকোচের শামিল হবে এক্ষেত্রেও বিষয়টি এমনি দাঁড়াবে। কোম্পানিগুলোকে এ দিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা দরকার, যেন সাধারণ মানুষ তাদের কোনো এজেন্ট কর্তৃক ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
৪. কেউ কেউ পার্সোনাল একাউন্ট দ্বারাও ব্যবসা করে থাকে। আইন অনুযায়ী এটি নিষিদ্ধ। এমনটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. আর এটিএম থেকে ক্যাশ আউটের হার বিকাশ রেখে থাকে হাজারে ২০ টাকা। অথচ এখানে এজেন্ট বা ডিস্ট্রিবিউটর কারো মধ্যস্থতা নেই।
শুধু এটিএম-এর সাথে মোবাইল ব্যাংকিং সফটওয়্যার এর লিংক স্থাপিত করলেই হল। তথ্য প্রযুক্তির এ যুগে এটিএম থেকে নিজের জমা টাকা উঠাতে ২% চার্জ দেওয়া কতটুকু জুলুম তা ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে হয় না। হয়ত বিকাশ তার এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটরদের সুবিধা দিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর মানসেই এ কৌশল নিয়েছে। কিন্তু গ্রাহকদের স্বার্থ কি উপেক্ষিতই থাকবে? এক্ষেত্রে কোনোক্রমেই ৫/১০ টাকার বেশি চার্জ হওয়া উচিত নয়। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের চার্জ এক্ষেত্রে বর্তমানে কম ও যুক্তিসঙ্গত।
মোবাইল রিচার্জ
মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের নিজ নিজ একাউন্টের মাধ্যমে মোবাইল ফোন রিচার্জের সুযোগও দিয়ে থাকে। এ জন্য বাড়তি কোনো ফী নেওয়া হয় না। তবে মোবাইল অপারেটরদের থেকে তারা কমিশন পেয়ে থাকে নিশ্চয়ই। শরীয়তের দৃষ্টিতে এতে সমস্যা নেই।
রেমিটেন্স গ্রহণ
আরেকটি সেবা দেওয়া হয় বিদেশ থেকে প্রেরিত টাকা মোবাইল একাউন্টে গ্রহণের। প্রেরণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত টাকা না দিতে হলেও উত্তোলনের ক্ষেত্রে ক্যাশ আউটের পুরো ফী-ই গ্রাহককে প্রদান করতে হয়। আগেই বলা হয়েছে যে, বর্তমানে তা হাজারে ১৮.৫০ টাকা ও লাখে ১৮৫০ টাকা। মানুষের কষ্টার্জিত অর্থের উপর এটি অন্যায় হস্তক্ষেপ। তবে কোনো গ্রাহক মোবাইল একাউন্টের মাধ্যমে রেমিটেন্স গ্রহণ করলে তা নাজায়েয হবে না।
পেমেন্ট
মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো বর্তমানে গ্রাহকদেরকে নিজ নিজ একাউন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থান থেকে খরিদকৃত পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধেরও সুযোগ দিচ্ছে। এর জন্য গ্রাহক থেকে অতিরিক্ত চার্জ করা হয় না। পণ্য বিক্রয়কারী বা সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয় মার্চেন্ট। গ্রাহকের মোবাইল একাউন্ট এবং এজেন্ট/ডিস্ট্রিবিউটরের একাউন্টের মতো তাদেরও থাকে মার্চেন্ট একাউন্ট। কোম্পানি মার্চেন্ট থেকে কমিশন পেয়ে থাকে।
এটিকে তুলনা করা যায় ডেবিটকার্ড ও প্রিপেইড কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধের সাথে। মৌলিকভাবে এটি জায়েয। তবে একটি বিষয় লক্ষণ্যীয়। তা হচ্ছে, যদিও বাহ্যিকভাবে এসকল সেবার মাধ্যমে মানুষ ক্যাশ টাকা বহন করার ঝামেলা থেকে মুক্তি পেয়ে থাকে কিন্তু ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, মোবাইল একাউন্ট থেকে পেমেন্ট ইত্যাদি সুবিধা ব্যাংকগুলো আবিষ্কার করেছে তাদের লাভের জন্য। এসবের মাধ্যমে ব্যাংকগুলো মার্চেন্ট তথা ব্যবসায়ীর লাভে ভাগ বসিয়ে থাকে। নিয়ে থাকে বিভিন্ন হারে কমিশন। যা সুস্পষ্ট মধ্যসত্ত্বভোগ। কারণ আধুনিক মার্চেন্টগণ এসব কমিশন ও চার্জের কথা মাথায় রেখেই তাদের পণ্য/সেবার মূল্য বাড়িয়ে ধরে থাকে। যার মাশুল গুণতে হয় সাধারণ ভোক্তাকে। ইসলাম এ ধরনের মধ্যসত্ত্বভোগকে নিরুৎসাহিত করে থাকে।
মোবাইল একাউন্টধারী একজন গ্রাহক বর্তমানে উপরোল্লেখিত সেবাগুলোই পেয়ে থাকে।
প্রসঙ্গ সুদ
শোনা যাচ্ছে যে, বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলোকে নির্দেশনা জারি করা হতে পারে যেন গ্রাহক একাউন্টকে সেভিংস একাউন্ট হিসাবে ধরে একাউন্ট ব্যালেন্স এর উপর সুদপ্রদান করা হয়। এমনটি করা হলে তা হবে খুবই দুঃখজনক নিন্দনীয় কাজ। এ কথা অনুধাবন করা দরকার যে, মানুষ টাকা জমা রাখা বা সুদ/মুনাফার জন্য মোবাইল একাউন্ট করে না। এখানে তার টাকা থাকে প্রয়োজনে আপনজনকে প্রেরণ বা দরকারি কাজে লাগানোর জন্য। অনেক ধর্মপ্রাণ মুসলমান গ্রাহক, এজেন্ট ও ডিস্ট্রিবিউটর মোবাইল ব্যাংকিং-এর সাথে জড়িত। তাদেরকে সুদের মতো একটি নিকৃষ্ট হারামের সাথে জুড়ে দেওয়া কোনোক্রমেই কাম্য হতে পারে না। (এমনটি করা হলে এমক্যাশ ওয়ালারা হয়ত তাদের একাউন্টকে মুদারাবা বলে দাবি করে মুনাফা দেওয়ার কথাও বলতে পারে!) কেন্দ্রীয় ব্যাংক হয়ত ভাবছে গ্রাহককে সুদপ্রদান করা হলে তারা সেখানে ১০/১৫% হারে ভ্যাট বসাতে পারবে।
এ চিন্তা বাদ দিয়ে তাদেরকে ভাবা দরকার কিভাবে মোবাইল ব্যাংকিং-এর চার্জগুলো, বিশেষত ক্যাশ আউটের চার্জ কমানো যায়। সুদের উপর ভ্যাট বসিয়ে লাভবান না হয়ে তারা বরং নজরদারির জন্য ব্যাংকগুলো থেকে ন্যায়সঙ্গত ফী নিতে পারে। মনে রাখা দরকার যে, অসংখ্য অশিক্ষিত বা স্বল্পশিক্ষিত লোক প্রয়োজনের তাকিদে মোবাইল ব্যাংকিং এর গ্রাহক হয়েছে ও হচ্ছে। তাদের একাউন্টে ১০/২০ টাকা সুদ দেওয়া হলে তাদের তেমন কোনো লাভ হবে না কিন্তু ঐ টাকা হিসাব করে আলাদা করা এবং তা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা তাদের জন্য কষ্টসাধ্য হবে। সুতরাং আমরা জোর দিয়েই বলতে চাই, যেন মোবাইল একাউন্টকে সেভিংস একাউন্ট ঘোষণা করা না হয়।
উপসংহার
মোটকথা হল, সার্বিক বিবেচনায় (আমাদের জানা তথ্যগুলো অনুযায়ী) বর্তমানে প্রচলিত মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম জায়েয। তবে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগণকে উপরোল্লেখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেওয়া দরকার। অদ্য ২২/০৯/২০১৩ পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী উপরোক্ত আলোচনা করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বা মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানি কোনো নতুন নিয়ম করলে সেক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য কোনো আলেম থেকে পুনরায় মাসআলা জেনে নিতে হবে। 

Thursday, September 5, 2013

আত্মপ্রকাশ করল ‘মোবাইল ক্রেডিট কার্ড’ স্বস্তি

আত্মপ্রকাশ করল ‘মোবাইল ক্রেডিট কার্ড’ স্বস্তি


নিজস্ব প্রতিবেদক: নতুন বার্তা ডটকম

ঢাকা: দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো মোবাইল ক্রেডিট কার্ড ‘স্বস্তি’। মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে স্বয়ংক্রিয় এই ডিজিটাল ঋণ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমটি চালু করল বিডিজবস ডট কম। ক্রেডিট কার্ড ছাড়াই কেবল মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তাৎক্ষিণক এই ঋণ সেবা ব্যবস্থাপনায় সহযোগি প্রতিষ্ঠান হিসেবে রয়েছে ডাচ- বাংলা ব্যাংক ও এনজিও দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্র।   


চার মাস সীমিত আকারে পরীক্ষামূলক অপারেশনের পর বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রযুক্তি সেবার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। পূর্বাণী হোটেলে এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউণ্ডেশনের (পিকেএসএফ)  চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ, ডাচ-বাংলা ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরীন এবং বেসিস সভাপতি ফাহিম মাশরুর ।

অনুষ্ঠানে স্বস্তির প্রকল্প পরিচালক  ও বিডিজবস.কমের চেয়ারম্যান আহমদ ইসলাম মুকসিত স্বস্তির পরিচিতি পর্বে বলেন, ‘‘স্বস্তি হলো মোবাইলের মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি জরুরি ঋণ সুবিধা। সেবাটির মাধ্যমে প্রান্তিক মানুষ তার জরুরি প্রয়োজনে তাৎক্ষণিকভাবে সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারবেন। এতে আলাদা কোনো ক্রেডিট কার্ড বা ডিভাইসের প্রয়োজন হবে না। স্বস্তির সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন গ্রাহক, তার মোবাইলটি ব্যবহার করে বাংলাদেশের যেকোন প্রান্ত থেকে ঋণের টাকা উত্তোলন বা পরিশোধ করতে পারবেন অল্প সময় ও স্বল্প-ব্যয়ে। এজন্য কেবল একটি সাধারণ মোবাইল প্রয়োজন হবে।’’  
জরুরি অবস্থায় চিকিৎসা ব্যয়, সন্তানের শিক্ষা ব্যয়, ঈদ-পূজা-নববর্ষ ইত্যাদি উৎসবে খরচ, ভ্রমণ ব্যয়সহ দৈনন্দিন পারিবারিক প্রয়োজনে স্বস্তির মাধ্যমে ঋণ পাওয়া যাবে বলে তিনি জানান।

অনুষ্ঠানে ড. আতিউর রহমান বলেন, সাধারন মোবাইল ডিভাইস ব্যবহার করে তাৎক্ষনিক এই ঋণ-সুবিধা নিম্ন ও নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জরুরি প্রয়োজনে কম খরচে অর্থের সংস্থান করবে। এই সেবা দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।

এসময় লোন-ব্যবস্থাপনার এই পদ্ধতিকে অভিনব হিসাবে আখ্যায়িত করে স্বস্তির সাফল্যের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন ড. কাজী খলিকুজ্জামান।  

অনুষ্ঠানে স্বস্তির গ্রাহক রুমানা আহমেদ তার ব্যক্তিগত জরুরি প্রয়োজনে সেবা গ্রহনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

Source: http://www.natunbarta.com

Wednesday, August 7, 2013

কৃষি তথ্য সেবায় ‘কৃষি কল সেন্টার’ এর ভূমিকা

কৃষি তথ্য সেবায় ‘কৃষি কল সেন্টার’ এর ভূমিকা
- ড. ফারুক-উল-ইসলাম*
  এ এম সামসুদ্দৌলা**


 কৃষির বাণিজ্যিকীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কৃষিতে আধুনিক ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় কৃষির সনাতনী জ্ঞান আজ আর যথেষ্ট নয় কৃষিকাজে। পরিবর্তিত কৃষিতে কৃষককে তাই নিজের জ্ঞান-অভিজ্ঞতার পাশাপাশি আজ অনেকখানি নির্ভর করতে হয় উন্নত প্রযুক্তি ও আধুনিক জ্ঞানের ওপর যা কৃষককে তাৎক্ষণিক কার্যকর সমাধান দিয়ে তার জমির ফসল ও গবাদিপ্রাণীকে রক্ষা করবে; বন্যা, ঘূর্ণিঝড় বা যেকোন প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্ভাব্য বা সংঘটিত ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সহযোগিতা করবে। এ সময়ের কৃষক সধারণত যেসব জায়গা থেকে সহায়তা নিয়ে থাকে সেগুলো হল- নিজ এলাকার অভিজ্ঞ চাষি, এনজিও বা সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে ওঠা ‘কৃষি ক্লাব/ স্কুল’ বা সম্প্রসারণ কর্মী, ইনপুট বিক্রেতা ও পরিসেবা প্রদানকারী, স্থানীয় জ্ঞান-তথ্য কেন্দ্র, অথবা উপজেলা পর্যায়ের তথ্য কেন্দ্র। কিন্তু কৃষিপ্রযুক্তি ও পদ্ধতির নিয়ত পরিবর্তনশীলতার সঙ্গে পাল্লা দিতে আমাদের কৃষকদেরও প্রয়োজন বৈশ্বিক অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ।
অন্য দিকে, অভিজ্ঞতা ও বিশেষজ্ঞতায় সমৃদ্ধ হওয়ার পরও আমাদের কৃষি সম্প্রসারণ পদ্ধতিকে আরও আধুনিক ও আইসিটি-জ্ঞান-সমৃদ্ধ করার জন্য বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। বর্তমান সময়ে এটা নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, আমাদের দেশের লাখ লাখ ক্ষুদ্র চাষি ও উদ্যোক্তার জন্য কম খরচে উন্নত তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে পারে ‘আইসিটি’। বিশেষ করে কৃষি ব্যবসায় ও ক্ষুদ্র আকারের চাষ- আবাদে সহায়তার ক্ষেত্রে, মোবাইল ফোনভিত্তিক কল সেন্টারগুলো এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা শুরু করেছে।


এ বছরের (২০১৩) এপ্রিল মাস পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে; যা গত বছরে (২০১২) ছিল ৯ কোটি। (নিচের ছক দেখুন)।
মোবাইল ফোনের ক্ষুদে বার্তা বা কমিউনিটি রেডিওর মতো, মোবাইল ফোনভিত্তিক কল সেন্টার নিৎসন্দেহে কৃষি সংক্রান্ত তথ্য ও যোগাযোগ সেবাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার সম্ভাবনা ধারণ করে। কৃষি কল সেন্টার কেবল বাংলাদেশেই নয় বরং পৃথিবীর অনেক দেশের অর্থনৈতিক, ব্যবসায়িক উদ্যোগে ভূমিকা রাখছে। ভারতে ‘কিষাণ কল সেন্টার’ এর গ্রাহক সংখ্যা তিন লাখের বেশি; ভারত সরকার তাদের বিনা পয়সায় ফোন করার সুযোগ করে দিচ্ছে। কেনিয়াতেও এ ধরনের উদ্যোগ রয়েছে।

কৃষি কল সেন্টারটি প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ ও এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিসের (এআইএস) একটি যৌথ উদ্যোগ। এ সেন্টারের লক্ষ্যগুলোর মধ্যে যেসব বিষয় অন্তর্ভুক্ত তাহল- *স্বল্পতম সময়ে কৃষি সংশিস্নষ্ট বিষয়াদি যেমন পশুপালন, মৎস্য, পুষ্টি ও আবহাওয়া বিষয়ে তথ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করা, বিশেষ করে দরিদ্র কৃষকদের জন্য। * বিশেষজ্ঞ কৃষিবিদদের পরামর্শ। * বিষয়ভিত্তিক, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা। * কৃষকদের জন্য স্থানীয়ভাবে সময়োপযোগী কনটেন্ট তৈরি করা।
প্রাকটিক্যাল অ্যাকশন বাংলাদেশ, এআইএস এবং কানেক্ট-৭ (টেকনিক্যাল পার্টনার) এর মধ্যে ২০১১ সনের জুন মাসে, কল সেন্টার বিষয়ে একটি প্রাথমিক ত্রিপক্ষীয় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তি মতে, এআইএস কার্যালয়ের একটি অংশে কল সেন্টারটি স্থাপন করা হয় এবং ২০১২ সনের জুন মাসে পরীক্ষামূলকভাবে এর কার্যক্রম শুরু করা হয়। এরই মধ্যে এ কল সেন্টার ১৮ হাজার ফোন কল পেয়েছে, যার মধ্য থেকে ২০ হাজার অনুসন্ধান (enquiry) নিবন্ধিত হয়েছে। মোট ৯ হাজার অনুসন্ধানের উত্তর তাৎক্ষণিকভাবে দেয়া হয়েছে এবং বাকি অনুসন্ধানগুলোর উত্তর বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করে পরবর্তীতে গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের গ্রাহকদের মধ্য থেকে চার হাজার গ্রাহকের ‘ফলো আপ’ করেছি এবং জানতে পেরেছি যে, তারা আমাদের দেয়া তথ্য সন্তোষজনকভাবে কাজে লাগাতে পেরেছে।

আমাদের এ কার্যক্রমকে আরও কার্যকরভাবে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে, সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় একটি ‘আনুষ্ঠানিক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর’ করার অনুমতি দিয়েছে। কৃষি কল সেন্টারটি ‘রাজস্ব আয়কারী’ ব্যবসায়-মডেল ও কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করলে টেকসই হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের মূল্য লক্ষ্য হল কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক সমর্থন নিয়ে বিশাল সংখ্যক গ্রাহকদের কাছে এ সেবাকে আরও কার্যকরভাবে পৌঁছে দেয়া।

কার্যক্রম পরিচালনা মডেল : এগ্রিকালচার ইনফরমেশন সার্ভিস (এআইএস) কল সেন্টারটিকে তার কার্যালয়ে স্থাপনসহ বিদ্যুৎ সরবরাহ ও কনটেন্ট সহায়তা করছে। কল সেন্টারটি স্থাপনের সময় আমরা বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি অথরিটি (বিআরটিএ) প্রদত্ত গাইডলাইন অনুসরণ করেছি। বর্তমান অবস্থা : দুটি বাড়তি (Standby)  সার্ভারসহ মোট চারটি সার্ভার; ফোন-কল পরিচালনার জন্য IVR একটি এবং কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) পরিচালনার জন্য আরেকটি; স্থাপন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকলেও যাতে অন্তত ১২ ঘণ্টা পর্যন্ত কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্নভাবে চলতে পারে, সেজন্য সেন্টারটির নিজস্ব বিদ্যুৎ ব্যাক-আপ রয়েছে। সফটওয়্যার-এর ক্ষেত্রে, কল-সার্ভারটি একযোগে ৪০টি কল রিসিভ-পূর্বক সেবা দিতে সক্ষম। কিন্তু এ মুহূর্তে আমরা ৫ জন অপারেটরের মাধ্যমে গ্রাহকসেবা দিচ্ছি। গ্রাহকসেবা যে কোনো মোবাইল ফোন থেকে (GSM/CDMA/PSTN/SIP) একটি নির্দিষ্ট নাম্বার (০৯৬৩৩১২৩১২৩) ফোন করতে পারেন এবং ওঠজ এর নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের মোবাইল ফোন থেকে ১/২/৩ চাপ দিয়ে তাদের কাঙিক্ষত অনুসন্ধানের বিষয়টি জেনে নিতে পারেন।
আমাদের জ্ঞান-তথ্য সেবা কার্যক্রমের সাথে কল সেন্টারের সম্পৃক্ততা : আমাদের কল সেন্টার-এর পাঁচ জন অপারেটরের মধ্যে তিনজন কৃষি-স্নাতক (কৃষি, ভ্যাটেনারি এবং ফিসারিজ); বাকি দু’জন মাঠ পর্যায়ের কৃষি সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানে বিশেষজ্ঞ। এছাড়াও আমাদের সাথে যুক্ত রয়েছেন ছয়জন ‘এক্সটার্নাল’ বিশেষজ্ঞ, যাদের সাথে প্রয়োজন হলে কল সেন্টার গ্রাহকগণকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সরাসরি যোগাযোগ করিয়ে দেয়া হয়।

বাংলাদেশের আটটি ‘এগ্রো ইকনোমিক-জোন’ এর কৃষক এবং সম্প্রসারণ কর্মীদের মধ্যে পরিচালিত জরিপের মাধ্যমে পাওয়া ৪৫০০টি কৃষিভিত্তিক সমস্যার সমাধানসমূহ নিয়ে প্রাথমিকভাবে আমাদের কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ক্ল্যায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম CMS) শুরু হয়। সংগ্রহীত সবগুলো সমস্যা এবং সেগুলোর সমাধানসমূহ জাতীয় পর্যায়ে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়েছে। আমাদের ৩০টি জ্ঞান কেন্দ্রের (জ্ঞানেরহাট) ৩০০ জন সম্প্রসারণ কর্মী কল সেন্টারটির পরীক্ষামূলক পর্যায়ে এর গ্রাহক ছিল। কল সেন্টার অপাটেরগণ তাদের নিজস্ব জ্ঞান, অথবা কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ক্ল্যায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS)সহায়তা নিয়ে গ্রাহকগণের অনুসন্ধান উত্তর দিয়ে থাকেন। এছাড়াও তারা প্রয়োজন অনুযায়ী, গ্রাহককে ইন্টারনাল বিশেষজ্ঞ অথবা এক্সটারনাল বিশেষজ্ঞের সাথে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেন। কল সেন্টার অপারেটর যদি মনে করেন, কোনো নির্দিষ্ট গ্রাহককে হাতে কলমে সেবা দেয়ার প্রয়োজন আছে, তবে তিনি আমাদের সংশ্লিষ্ট সম্প্রসারণ কর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে ঐ গ্রাহককে সরাসরি সেবা দেয়ার অনুরোধ করেন।

প্রতিটি নতুন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলোর গুণগত নিশ্চিত করে আমাদের কনটেন্ট ম্যানেমেন্ট সিস্টেম অ্যান্ড ক্লায়েন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (CMS) -এ সংরক্ষণ করা হয়। সব নতুন গ্রাহককেও ভবিষ্যতে ফলো-আপ এবং যোগাযোগের জন্য নিবন্ধিত করা হয়। গ্রাহকগণের সঙ্গে সকল কথোপকথন রেকর্ড করে ‘কল সার্ভারে’ ছয় মাসের জন্য সংরক্ষণ করা হয়।

 চাজিং : বর্তমান পাইলট পর্যায়ের ০৯৬৩৩১২৩১২৩ নাম্বারের ‘হেল্পলাইন’ এ একযোগে ১০টি ফোনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়; প্রতিটি কলের জন্য গ্রাহককে মিনিটপ্রতি ৬৮ পয়সা দিতে হয়। কল সেন্টারটির ব্যাপক প্রচারের জন্য বাংলাদেশ টেলিভিশনে অল্পদিনের মধ্যেই একটি বিজ্ঞাপন প্রচার করা হবে। বিজ্ঞাপন নির্মাণের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। আমরা খুব অল্প সময়ের মধ্যেই বিটিআরসির কাছে কল সেন্টারের জন্য একটি ছোট আকারের নাম্বার (পাঁচ ডিজিটের) পেতে আবেদন জানাব। আমাদের হিসাব মতে, পাঁচজন অপারেটর (ছয়জন এক্সটারনাল বিশেষজ্ঞসহ) যদি প্রতি দিন ১০ ঘণ্টা করে বছরে দুই লাখ গ্রাহককে সেবা দেয় তবে এক বছরের জন্য কল সেন্টারটি পরিচালনা করতে খরচ লাগবে ১৫ লাখ টাকা। কিন্তু বার্ষিক ১২ টাকা সদস্য চাঁদার মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে দুই লাখ চাষিকে নিবন্ধনের আওতায় এনে এর চলতি ব্যয়ভার বহন করা সম্ভব। এছাড়া অন্যান্য রেভিনিউ জেনারেশন মডেল ও প্রাইভেট সেক্টরের সঙ্গে টেলিকম, সফট্‌ওয়্যার, কন্টেন্ট নির্মাতা অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও বাসত্মবায়ন করা যেতে পারে। পাশাপাশি সরকারও লাখ লাখ দরিদ্র প্রানিত্মক চাষিদের জন্য ‘টোল-ফ্রি’ সার্ভিসের উদ্যোগ নিতে পারে।

সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো:

*জনবহুল দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মোবাইল ফোনভিত্তিক সেবার অনন্য সম্ভাবনা রয়েছে।

*আশা করা যায় তৃণমূলে ইন্টারনেটের বর্তমান ধীরগতি ও দুষ্প্রাপ্যতা অচিরেই কেটে যাবে।

*স্বল্প মূল্যে বাজারে মাল্টিমিডিয়া ফোনের সহজলভ্যতা।

*কনটেন্ট প্রস্তুতকারী ও পুনর্বিন্যাসকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আইসিটির সহায়তায় অধিকতর উপযোগী তথ্য উপকরণ নির্মাণে উৎসাহী।

*কল সেন্টারগুলোর সহায়তা কার্যক্রম অন্যান্য তথ্যসেবা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেতে পারে।

*প্রাইভেট টেলিকম প্রতিষ্ঠান, সফট্‌ওয়্যার প্রতিষ্ঠান, মোবাইল সেট প্রস্তুতকারী ও পরিবেশকরা এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবেন।

*সরকার দরিদ্র কৃষকদের জন্য ‘টোল-ফ্রি’ সার্ভিসের সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

*কল সেন্টারের সামর্থ্যের তুলনায় এর গ্রাহকসংখ্যা বেড়ে গেলে সেবার মান পড়ে যেতে পারে।


টবিল : মোবাইল ফোন গ্রাহক

অপারেটর       সক্রিয় গ্রাহক


গ্রামীণফোন     ৪,২৩,৭২,০০০


বাংলালিংক     ২,৬৩,০৯,০০০


রবি              ২,১৬,৯৭,০০০


এয়ারটেল       ৭৫,৫৭,০০০


সিটিসেল         ১,৪২,৫০০


টেলিটক         ১,৮৪,৪০০


মোট            ১০,১২,০৫,০০০


* প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশন, বাংলাদেশ

Monday, August 5, 2013

মোবাইল ফোনের সিম ক্লোনের খবর নিয়ে উদ্বেগ

মোবাইল ফোনের সিম ক্লোনের খবর নিয়ে উদ্বেগ

 

ইন্টারনেটসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মোবাইল ফোনের সিম ক্লোনের খবর ছড়িয়ে পড়ায় চারদিকে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। বলা হচ্ছে, +৯২, #৯০ এবং #০৯ তিনটি প্রাইমারি কোডের কোনো ফোনকল আসলে সেটি ধরার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল সিমের সব ধরনের তথ্য কপি হয়ে যাচ্ছে। তবে দেশের মোবাইল কমিউনিকেশন এবং তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে বিভক্ত মত দিচ্ছেন। দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষও জানিয়েছে, খবরটি জানতে পেরে তাদের শীর্ষ পর্যায়ের ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে বৈঠক করেও এখন কোন আশঙ্কার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেননি তারা। গ্রামীণফোনের চিফ টেকনিক্যাল অফিসার তানভীর বার্তা৭১ডটকমকে জানান, গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোন কিছু এখনও পাননি তারা। একই কথা বলেছেন, দেশের অপর শীর্ষ এক ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার সুমন আহমেদ সাবির। তিনি বলেন, প্রযুক্তিগতভাবে এটি একেবারেই অসম্ভব। অহেতুক গ্রাহকদের উদ্বিগ্ন না করার জন্যে তিনি সবার প্রতি আহ্বান জানা। তবে ভিন্ন মত জানিয়েছেন, প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান নেতাসের বাংলাদেশ প্রধান মুশফেক আনাম। তিনি বলেন, যদিও এখানে ব্যান্ডউইথসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আছে। কিন্তু প্রযুক্তি এখন এমন পর্যায়ে চলে গেছে যে কোন কিছুই আর অসম্ভব নয়। গত কয়েক দিনে ভারতীয় কয়েকটি গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে যে, সেলফোনে কল করার মাধ্যমে অন্যের সেল থেকে তথ্য ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন সে দেশের লক্ষাধিক মোবাইল গ্রাহক। সেসব খবরে বলা হচ্ছে, +৯২, #৯০ এবং #০৯ প্রাইমারি কোর্ড থেকে কল আসা মানেই কলার কল রিসিভারের তথ্য ক্লোন করতে চাইছে। অর্থাৎ বুঝতে হবে কলার আপনার সেলফোনের তথ্য কপি করছে। এ ধরনের তথ্য অন্যের হাতে চলে গেলে অনেক ক্ষেত্রেই বড় ধরনের আর্থিক বিপর্যয়ের সুযোগ থাকে। আর সামাজিক মর্যাদা বা ব্লাকমেইলিংয়ের খপ্পরে পড়ার বিষয় তো থাকছেই। কারণ সেলফোনে আজকাল অনেকে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি বা কোড সংরক্ষণে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তবে এ সমস্যার স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত সেলফোন গ্রাহকদের অপরিচিত কল রিসিভ ও মিসড কলব্যাক না করতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বলা হচ্ছে, কল এলে নম্বরটি ভাল করে দেখে নিন, তা +৯২, #৯০, #০৯ নম্বর দিয়ে শুরু কি না!  

 

Source: http://www.barta71.com

 

Sunday, August 4, 2013

Cell Phone Radiation Protection: 10 Tips





The 10 Cell Phone Radiation Protection Tips:
1. Use the speakerphone. The cell phone radiation drops exponentially by distance. So the further away the phone is from your head, the better.
2. Limit use to essential calls and keep calls short. Even a two-minute call has been found to alter the natural electrical activity of the brain for up to an hour afterwards.
3. Children should be allowed to use the cell phone in cases of emergency only. Because of their developing skulls, the radiation can penetrate much more deeply.
4: Use an Air Tube Headset (not regular wired headset). Research has shown that regular wired headset could transmit radiation into the ear canal.
5: Don't put the cell phone in your pocket or belt while in use or while it is on. Men who wear cell phones near their groin could have their sperm count dropped by as much as 30 percent, study shows.
6: If using phone without a headset, wait for the call to connect before placing phone next to the ear. Radiation level is higher while phone is still trying to make a connection.
7: Do not use the cell phone in enclosed metal spaces such as vehicles or elevators. Phones need more power to make connection; the metal enclosure also traps the radiation and reflects it back at the occupants.
8: Do not make a call when the signal strength is one bar or less. The phone must work harder to establish a connection and thus emits more radiation.
9: Buy a phone with low radiation rating (low radiation cell phones). The phone's SAR (Specific Absorption Rate) can be found in manual. The lower the SAR value from FCC limit of 1.6 W/kg, the better.
10: Use scientifically proven cell phone radiation reducing or protection device.

Additional cell phone radiation protection tips:
Take nutritional supplements, particularly anti-oxidants SOD, catalase, glutathione, and Coq10. Microwave radiation has been shown to decrease levels of these anti-oxidants in the body. These are substances the body produces to protect itself, and their levels are sensitive indicators in stress, aging, infections and various other disease states. Other supplements you may need are:
- Melatonin: a powerful anti-oxidant noted to prevent DNA breaks in brain cells. Also effective in preventing kidney damage from cell phones;
- Zinc: protects the eye from oxidative damage and helps preserve the levels of anti-oxidants in the blood;
- Gingko Biloba: an herb considered a powerful anti-oxidant which prevents oxidative damage in the brain, eye and kidney. Also helps support the production of SOD, catalase and glutathione;
- Bilberry extract: preserves vision and reduces oxidative damage to the eyes.

Friday, August 2, 2013

মোবাইল ফোনেই হজ গাইড

মোবাইল ফোনেই হজ গাইড

Saturday, July 20, 2013

মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করার উপায়

 মোবাইল ফোনের মাধ্যমেট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করার উপায়


 
ট্রেনের টিকেট সংগ্রহ করা যেতে পারে রেল স্টেশনের বুথ থেকে। ঢাকা এবং আশেপাশের রেল স্টেশনগুলো হল নারায়ণগঞ্জ, গেন্ডারিয়া, কমলাপুর, তেজগাঁও, বনানী, ক্যান্টনমেন্ট, বিমানবন্দর, টঙ্গী এবং জয়দেবপুর। এর মধ্যে নারায়ণঞ্জ এবং গেন্ডারিয়া রেল স্টেশন ছাড়া অন্য রেল স্টেশনগুলোয় কম্পিউটারাইজড ডাটাবেস নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে টিকেট বিক্রি করা হয়। ফলে যেকোন গন্তব্যের টিকেট কাটা যায় এসব স্টেশন থেকে।
 
বুথগুলোয় সাধারণত ভিড় লেগেই থাকে। ভিড় এড়ানোর জন্য ইন্টারনেট এবং মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহ করা যায় এখন। মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলালিংক এবং গ্রামীনফোনের গ্রাহকগণ নিজের মোবাইল ফোনের মাধ্যমেই টিকেট সংগ্রহ করতে পারেন। কিংবা সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন কোম্পানীর গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে যে কেউ টিকেট সংগ্রহ করতে পারে। প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর একটি নম্বর এসএমএস আকারে গ্রাহকের মোবাইল ফোনে পৌঁছে যায়। এটি দেখিয়ে ভ্রমণের আগে ফোন কোম্পানীর গ্রাহক সেবা কেন্দ্র বা রেল স্টেশন থেকে প্রিন্ট আউট নিতে হয়।
 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে টিকেট সংগ্রহের পদ্ধতি সম্পর্কে জানা যেতে পারে রেলওয়ের ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট ফোন কোম্পানীর ওয়েবসাইট থেকে।

যোগাযোগ

কমলাপুর
০২-৯৩৫৮৬৩৪
০২-৮৩১৫৮৫৭
০২-৯৩৩১৮২২
০১৭১১-৬৯১৬১২
বিমানবন্দর
০২-৮৯২৪২৩৯
ওয়েবসাইট: www.railway.gov.bd

সাধারণ কিছু নিয়ম:

  • টিকেট হস্তান্তর যোগ্য নয়।
  • তিন থেকে বারো বছরের ছেলেমেয়েদের জন্য অপ্রাপ্ত বয়স্ক টিকেট কেনা বাধ্যতামূলক।
  • বিনা মাশুলে যাত্রীর সংগে বহনযোগ্য ব্যবহার্য সামগ্রীঃ এসি-৫৬ কেজি, প্রথম শ্রেণী-৩৭.৫ কেজি, শোভন-২৮ কেজি, সুলভ/দ্বিতীয় শ্রেণী-২৩ কেজি।
  • বিশেষ কারণবশত যাত্রাকালে কোচ/সীট নম্বর পরিবর্তিত হতে পারে।
  • আন্তঃনগর ট্রেনের জন্য ৩ দিন আগে সীট রিজার্ভেশনসহ টিকেট কেনা যায়।
  • টিকেট কাউন্টারের ডিসপ্লে-তে খালি আসন ও ভাড়া ইত্যাদি সংক্রান্ত তথ্য জানার সুবিধা রয়েছে।
  • টিকেট প্রাপ্তির ব্যাপারে যাত্রীগণ প্রয়োজনে তৎক্ষণিকভাবে আন্তঃনগর ট্রেন বিরতি ষ্টেশনসমূহের বুকিং কাউন্টারের সামনে লিখিত মোবাইল নম্বরে সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।


টিকেট ফেরত দেয়া

ট্রেন ছাড়ার ৪৮ ঘন্টা পূর্বে ফেরত দিলে সংশ্লিষ্ট শ্রেণীর ক্লারিকেল চার্জ কর্তন সাপেক্ষে পূর্ণ মূল্য ফেরত দেওয়া হয়।
 
সময়
কমিশন
৪৮ ঘন্টা পূর্বে
৪ টাকা
২৪ ঘন্টা থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে
২০%
১২ থেকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে
৩০%
৬ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টার মধ্যে
৪০%
৩ ঘন্টা থেকে ৬ ঘন্টার মধ্যে
৫০%
ট্রেন ছাড়ার ৩ ঘন্টার কম সময়ের মধ্যে টিকেটের মূল্য ফেরত পাওয়া যায় না।

 
 

ইন্টারনেটে ট্রেনের টিকেট


সম্প্রতি ইন্টারনেটে ট্রেনের টিকেট কাটার ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। পরীক্ষামূলকভাবে স্বল্প পরিসরে এ ব্যবস্থা চালু করা হলেও শীঘ্রই এ সেবা বিস্তৃত করা হবে বলে জানাচ্ছে রেল কর্তৃপক্ষ।
ইন্টারনেটে টিকেট কাটতে হলে প্রথমে রেলওয়ের ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে  হবে। এরপর ই-মেইল ঠিকানা এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে হবে। তারপর নির্ধারিত গন্তব্যের টিকেট বেছে নিয়ে ভিসা বা মাস্টারকার্ড সমর্থিত ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে মূল্য পরিশোধ করার পর গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় বিস্তারিত তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। এটির প্রিন্ট নিয়ে ট্রেন ছাড়ার ১৫ মিনিট আগে স্টেশনে উপস্থিত হতে হবে; ২০ টাকা অতিরিক্ত মাশুল দিতে হবে এজন্য।
টিকেট কাটার বিস্তারিত:
রেলওয়ের ওয়েবসাইটে (www.railway.gov.bd) গিয়ে ‘পারচেজ ই টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
নতুন ব্যবহারকারী হলে ‘সাইন আপ’-এ ক্লিক করতে হবে।  এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে ফরমটি পুরণ করতে হবে। সঠিকভাবে ফরমটি পূরণ করা হলে গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় একটি এক্টিভেশন লিংঙ্ক পাঠানো হবে। যেটির চিত্র অনেকটা এরকম:
এই এক্টিভেশন লিংকে ক্লিক করার পরই কেবল গ্রাহকের একাউন্ট চালু হবে।
এরপর আবার রেলওয়ের ওয়েবসাইট (www.railway.gov.bd) এ গিয়ে ‘পারচেজ ই টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এখানে ই-মেইল ঠিকানা, পাসওয়ার্ড এবং সিকিউরিটি কোড দিয়ে নিজের একাউন্টে প্রবেশ করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
এখান থেকে ‘পারচেজ টিকেট’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
এখানে ড্রপ ডাউন বক্সগুলো থেকে  নির্বাচন কাজ সম্পন্ন করে ‘সার্চ’ বোতামে ক্লিক করতে হবে। আসন খালি থাকলে টিকেটের মূল্য এবং সার্ভিস চার্জ জানিয়ে সম্মতি চাওয়া হবে। সম্মতি দেবার পর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
ভিসা, মাস্টার কার্ড বা ব্র্যাক ব্যাংক এই তিন ব্যবস্থার মাধ্যমে টিকেটের মূল্য পরিশোধ করা যায়। এখান থেকে প্রয়োজনীয় পদ্ধতি বেছে নেবার পর এরকম একটি পৃষ্ঠা পাওয়া যাবে:
এবার কার্ডের তথ্য দিয়ে টিকেট কাটার কাজ সম্পন্ন করতে হবে। গ্রাহকের ই-মেইল ঠিকানায় প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠিয়ে দেয়া হবে। এরপর গ্রাহককে সেটির প্রিন্ট কপি, মোবাইল ফোন (যে নম্বরটি তার একাউন্টে দেয়া আছে), ক্রেডিট কার্ড (যেটি ব্যবহার করে টিকেট কেনা হয়েছে) ইত্যাদি প্রদর্শন করে যাত্রার ১৫ মিনিট আগে টিকেটের মূল কপি সংগ্রহ করতে হবে।
অন্যান্য তথ্য:

  • প্রাথমিকভাবে কেবল বাংলাদেশী নাগরিকগণ ইন্টারনেটে টিকেট কাটার সুবিধা পাচ্ছেন।
  • একজন ব্যক্তি একসাথে সর্বোচ্চ চারটি টিকেট কাটতে পারেন।
  • যাত্রার সর্বোচ্চ তিন দিন আগের টিকেট কাটা সম্ভব।
  • ইন্টারনেটে টিকেট কাটার জন্য ২০ টাকা সার্ভিস চার্জ দিতে হয়।


 
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ট্রেনের টিকেট কাটা

একটি নম্বর থেকে এক দিনে কেবল একটি টিকেট কাটা যায় আর এক টিকেটে সর্বোচ্চ ৪ জনের টিকেট কাটা যায়। অগ্রীম টিকেট কাটা যায় তবে সর্বোচ্চ ৩ দিন আগের টিকেট কাটা যায়। প্রতি সিটের জন্য ভ্যাটসহ ২০ টাকা চার্জ দিতে হয়। গ্রাহক সেবা কেন্দ্র থেকে টিকেট কাটার জন্য যে স্টেশন থেকে যাত্রা করা হবে সে স্টেশনের নাম, গন্তব্যে স্টেশন, যাত্রার তারিখ, ভ্রমণ শ্রেণী, টিকেটের সংখ্যা, ভ্রমণকারীর ফোন নম্বর  ইত্যাদি তথ্য প্রদান করতে হয়।
গ্রাহক নিজে টিকেট সংগ্রহ করতে চাইলে আগে তাকে গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে প্রয়োজনীয় অংকের টিকেট ব্যালেন্স নিতে হয় বা ওয়ালেট রিফিল করতে হয়। ওয়ালেট রিফিল কনফার্ম করার জন্য yes এর পর একটি স্পেস দিয়ে কাস্টমার পিন লিখে 480 নম্বরে sms পাঠাতে হয়।
যেমন- yes <space> 2468.
2468 এক্ষেত্রে কাস্টমার পিন।
 
টিকেট কাটার জন্য
*131# ডায়াল করতে হয় এরপর পিন নম্বর চাইলে পিন নম্বর দেয়ার পর ‘1’ চেপে টিকেট কাটার অপশন নির্বাচন করতে হবে। তারপর ভ্রমন তারিখ জানতে চাইবে। ভ্রমণ তারিখ দেবার পর যে স্টেশন থেকে যাত্রা করা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। এরপর গন্তব্য স্টেশন জানতে চাইবে। গন্তব্য স্টেশনের প্রথম তিন অক্ষর টাইপ করতে হবে। গন্তব্য স্টেশন নির্বাচন করার পর ঐ তিন অদ্যক্ষরের স্টেশনগুলোর একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে স্টেশন নির্বাচন করতে হবে। যেমন- chi দিলে Chittagong এবং chisti_road পাওয়া যাবে। স্টেশন নির্বাচন করার পর ট্রেনের একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে ট্রেন নির্বাচন করতে হবে। এরপর কোন শ্রেনীতে ভ্রমণ করা হবে সেটি নির্বাচন করতে হবে। তার পর একটি তালিকা পাওয়া যাবে। সেখান থেকে পুরুষ, মহিলা, শিশু এবং যাত্রী সংখ্যা নির্বাচন করতে হয়। এরপর টিকেটের মূল্য জানিয়ে নিশ্চিত করনের জন্য একটি মেন্যু আসবে। সেখান থেকে নিশ্চিতকরণের পর পিন নম্বর প্রদান করতে হয়। তারপর txnid পাওয়া যাবে। সেটি দেখিয়ে প্রিন্ট আউট নিতে হয়।
 

বাংলালিংকের ওয়েবসাইট- www.banglalinkgsm.com


গ্রামীণফোনের ওয়েবসাইট- www.grameenphone.com